লকডাউনের প্রথম দিন মালিকদের সংগঠন রংপুরে দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। তবে সোমবার সকালে শ্রমজীবীরা কাজের সন্ধানে শাপলা চত্বরে ভিড় করছেন। লকডাউনে দোকান এবং শপিংমল বন্ধ রয়েছে। অটোরিকশা আগের তুলনায় অনেক কম, কাঁচাবাজার খোলা।
সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৮ টা থেকে রংপুর শহরে কোনও বাজার খেলা হয়নি। রংপুর থেকে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করেনি। লকডাউনটি কঠোর উপায়ে কার্যকর করা হচ্ছে। বাসচালক দুলাল মিয়া জানান, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। তবে যাত্রীদের কিছুটা সমস্যা হবে।
দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ না করে মাঝারি ও ছোট যানবাহন আগের মতো শহরে চলছে। খোলা জায়গায় কাঁচাবাজার সহ প্রতিদিনের কোনও প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান স্থাপন করা হয়নি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা সত্ত্বেও মানুষের চলাচল আগের মতোই ছিল। লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসা লোকদের মধ্যে উদাসীনতা দেখা গেছে।
আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর সদস্যরা সকাল থেকেই মাটিতে রয়েছেন। তবে করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ সত্ত্বেও মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব দেখা দিয়েছে। অনেকে মুখোশ ব্যবহার করছেন না, সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। গাড়িচালকরা বলছেন যে তারা সকাল থেকে কোনও বাধা ছাড়াই বসে আছেন।
ইতোমধ্যে রংপুর মহানগর পুলিশ একটি পাবলিক নোটিশ জারি করেছে। নির্দেশের আটটি পয়েন্ট রয়েছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে যে, যারা নির্দেশ অমান্য করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবদুল আলীম মাহমুদ বলেছেন, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে সারা দেশে লকডাউন চাপানো হয়েছে। তবে যারা বিধি মানছেন না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।