চারদিকে সবুজ ধান ক্ষেত থাকলেও মাঝখানে একটুকরো জমিতে বেগুনী রঙের ধানগাছ দেখে মানুষের চোখ জুড়িয়ে যায়। রংপুর অঞ্চলে এই প্রথম বেগুনি রঙের ধান চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়েছেন রংপুরের তরুন কৃষি উদ্যোক্তা ঈসমাইল হোসেন। নামহীন এই বেগুনি পাতা রঙের উচ্চ ফলনশীল ধানের বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলে ধারনা কৃষি কর্মকর্তার।
চলতি বোরো মৌসুমে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার জগজীবন গ্রামে কৃষক ঈসমাইল হোসেন বেগুনী রঙের ধান আবাদ করে সবার নজর কেড়েছে। অত্যন্ত পুষ্ঠিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত দামি এই চালের ধান সফল চাষ হওয়ার কারনে রংপুরের কৃষি অঙ্গনে দেখা দিয়েছে ব্যাপক সম্ভাবনা। এইধানের চাষাবাদ অন্যান্য আধুনিক ধান চাষের মতোই। প্রয়োজন হয়না অতিরিক্ত সার বা পানির। ধরে না পোকা মাকড়। স্প্রে করাও লাগে না ধানের গাছে। ফলনও বেশী। রয়েছে ঐষুধী গুন। ইউটিউব থেকেই এই ধানের পরিচয় বললেন এই শিক্ষিত তরুন কৃষি উদ্যোক্তা ঈসমাইল হোসেন।
ইতিমধ্যেই ইউনিয়নে প্রায় ১৫ একর জমিতে এ ধান চাষ হচ্ছে। উচ্চ ফলন আর রোগবালাই নাই খরচ কম তাই অনেক কৃষকেই এই বেগুনী ধান চাষে আগ্রহী।
উত্তরের জনপদ রংপুরে এই প্রথম বেগুনি রঙের ধানের চাষ। যদি এর ফলন ভালো হয় তবে আশা রাখা যাচ্ছে এই অঞ্চলে বেগুনি রঙের ধানের চাষ বৃদ্ধি পাবে বললেন এই কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আহসানুল হক, উপ-সহাকারী কৃষি কর্মকর্তা, পীরগাছা উপজেলা কৃষি বিভাগ,রংপুর।
এটি আশ্চর্য ধরনের একটি ধান। এই ধানের নেই কোনো বৈজ্ঞানিক নাম বা স্বীকৃতি। তবে অনেক দামি ও দুর্লভ এই চালের ধান রোপন করে কৃষকরাও প্রচুর লাভবান হতে পারবেন বলে ধারনা সংশ্লিষ্টদের।