রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দুদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ-লুটপাটের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪৫ জনকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেখানে কোনো জীবনহানী হয়নি, তবে সম্পদহানী হয়েছে, বাড়িঘর পুড়িয়েছে। আমরা মনে করি এই লোকদের আমরা চিহ্নিত করেছি তাৎক্ষণিকভাবেই। এলাকাবাসীর সহায়তায় ৪৫ জনকে ধরেছি এবং আরো কয়েকজনকে ধরার জন্য চেষ্টা চলছে।
পীরগঞ্জে যা ঘটেছে তাকে ‘আরেকটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, ঘটনার সূত্রপাত এক কিশোরের ফেইসবুকে একটা পোস্ট নিয়ে। ইচ্ছায় দিক, বা অনিচ্ছায় বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হোক, স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন এ ঘটনা আঁচ করে ছেলেটি যেখানে থাকত, সেখানে অভিযান চালায়; তবে ছেলেটিকে পাওয়া যায়নি।
ওই গ্রামের নিরাপত্তা দিতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন ছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যারা অগ্নিসংযোগ করেছে তারা দুষ্কৃতকারী। এই দুষ্কৃতকারীরা তখন এই এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় গিয়ে পীরগঞ্জ থানার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামের কয়েকটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। আমার কাছে যে তথ্য এসেছে, সেখানে ২৫টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে। দুস্কৃতকারীরা বাড়িঘর লুট করেছে। ৯০ শতাংশের বেশি বাড়িঘর লুটপাট এবং ভাংচুর করেছে।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ, এপিবিএন, র্যাব আর বিজিবি সেখানে গেছে। আমাদের নিরাপত্তার যত ধরনের ব্যবস্থা সেটি আমরা গ্রহণ করেছি।কিন্তু এ ঘটনাটা আকস্মিকভাবেই দুস্কৃতকারীরা ঘটিয়ে ফেলেছে।
তিনি জানান, জেলা প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ অর্থ ও কাপড় বিতরণ করেছে। স্থানীয় এমপি জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীও উদ্যোগ নিয়েছেন। বাড়ি নির্মাণের জন্যও প্রধানমন্ত্রী নিদর্শনা দিয়েছেন, যার যা প্রয়োজন হয় দেওয়া হবে। খুব শিগগিরই তাদের বাড়ি-ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে।