রাত পোহালেই ঈদ। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ঢাকা থেকে শেষ মুহূর্তে কিছু যাত্রী দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে আসছেন।
তারা বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুট দিয়ে গন্তব্যে ফিরেছেন। তবে ঈদের আগের দিন সোমবার যাত্রীদের চাপ নেই মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে।
গত তিন দিন ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় থাকলেও আজ অনেকটাই ফাঁকা বাংলাবাজার ঘাট। সকাল থেকেই ঘাটের পরিবেশ স্বাভাবিক। স্বাভাবিক রয়েছে ফেরি, লঞ্চ এবং স্পিডবোট চলাচলও।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘাট এলাকা ঘুরে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়।
বিআইডব্লিটিসির বাংলাবাজার ঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার ঈদ হতে পারে এমন ভেবে অধিকাংশ যাত্রী রাতের মধ্যেই তাদের গন্তব্যে পৌঁছে গেছেন। সে কারণে ঘাট কিছুটা ফাঁকা। তবে দুপুরের পর যাত্রী চাপ বাড়তে পারে।
ঘাট সূত্র আরও জানায়, রবিবার সারা রাতই যাত্রীরা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘরে ফিরেছেন। ভোর রাতের দিকে ঝড়বৃষ্টি শুরু হলে দুর্ভোগে পড়েন ঘরমুখো যাত্রীরা।
শিমুলিয়া ঘাট থেকে ভিজতে ভিজতে বাংলাবাজার ঘাটে আসেন যাত্রীরা।
বাংলাবাজার ঘাটে নেমে ফেরি ঘাট থেকে দূরপাল্লার বাসের কাউন্টারে আসতে ভিজতে হয়েছে যাত্রীদের। বৃষ্টি-কাদায় মাখামাখি করে বাড়ি ফিরতে হয়েছে যাত্রীদের।
শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকার সাইদুর বলেন, ঢাকা থেকে সকালে রওনা দিয়েছি। লঞ্চে পার হইলাম।লঞ্চে যাত্রী নেই বললেই চলে।মনে হইলো ২ মাস আগে যেমনে পার হইলাম আজও তেমনি পার হইলাম।
বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন বলেন, এই নৌপথে ২৪ ঘণ্টায়ই ফেরি চলাচল করে।সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ৮টি ফেরি ওপার থেকে এই ঘাটে যানবাহনের নিয়ে এসেছে। যাত্রী তেমন পারাপার হচ্ছে না। সারা দিন মোট ১০টি ফেরি চলাচল করবে।
বিআইডব্লিউটিএ’র বাংলাবাজার লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, সোমবার ভোর সাড়ে ৬টা থেকে নৌরুটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ঘাটে ৮৫টি লঞ্চ ও ১৫৪টি স্পিডবোট এই ঘাটে চলাচল করছে। আজ এবং ঈদের দিন মঙ্গলবার একইভাবে যাত্রী সেবা প্রদান করা হবে।