ঘেন্নায় যোনিতে মুখ দিতে চায় না অনেক ছেলে আছে যারা নোংরা মনে করে। মেয়েটি যদি সুস্থ-সবল হয়ে থাকে তবে তার যোনিতে কোন ক্ষতিকর কিছু থাকার সম্ভাবনা নেই । তবে মেয়েদের যোনি চোষার নিয়ম তাদের জন্য বলছি। তবে ওদের যোনিরসে (যা মেয়েটি যৌনত্তেজিত না হলেও সাধারন অবস্থায় প্রায়ই কিছুটা নির্গত হয়।) আর ব্যক্টেরিয়া ও ক্ষতিকর জীবানু নিরুদক পদার্থ থাকে যা যোনিকে জীবানুমুক্ত রাখে সাহায্য করে । মেয়েদের যোনি অঞ্চলের অংশগুলোর কথা বলা হল নিচে আলাদা আলাদা করে ।
যোনি চোষার নিয়ম মেয়েদের
১.মোনস পিউবিসঃ মোনস পিউবিস যোনির একেবারে উপরিভাগে যে ফোলা ফোলা অংশ থাকে তাকে বলে। তবে এ অঞ্চলেই মূলত মেয়েদের যৌনকেশ সবচেয়ে বেশি থাকে । অনেকে সেভ করা পছন্দ করেন আবার অনেকে এ অঞ্চলটিতে যৌনকেশ পছন্দ করেন । এ স্থানটি বেশ সংবেদী তবে যেভাবেই হোক ।
মূলত যোনিতে মুখ দেয়ার আগে, অন্য কোথাও মেয়েটিকে আদর করার সময় ফাকে ফাকে এখানে চুমু খেয়ে ওকে ছেলেরা tease করে থাকে। এই স্থানে যৌনকেশ থাকলে অনেক ছেলে নিচে যোনি চোষার সময় নিজের ঠোটের উপরের স্থানে ও নাকে এই চুলগুলোর সুরসুরি খেতে পছন্দ করে। শুনেছি এটা নাকি এক দারুন অভিজ্ঞতা। আপনারাও চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
২.ল্যাবিয়া মেজরাঃ মোনস পিউবিসের নিচেই সমগ্র যোনি অঞ্চলকে ঘিরে থাকা বড় নিম্ন ঠোট হিসেবে পরিচিত পাতলা চামড়ার অংশটিই এটি। ছেলেদের অন্ডথলির চামড়ার মত একই Embryonic tissue দিয়ে এটি তৈরী। মেয়েটি উত্তেজিত হলে এটি প্রসারিত হয়ে যায়। এটি যথেষ্ট স্পর্শকাতর হলেও, যোনির অন্যান্য অঞ্চল থেক তুলনামূলক কম সংবেদী। এর চারপাশে জিহবার আগা লাগিয়ে লাইনের মত টেনে টেনে, ঠোট দিয়ে চেপে ধরে উত্তেজিত করা যেতে পারে।
মেয়েদের যোনি
৩. ল্যাবিয়া মাইনোরাঃ ল্যাবিয়া মেজরার ভিতরে ভাজে থাকে ল্যাবিয়া মাইনোরা (ছোট নিম্ন ঠোট)।এই চামড়ার স্তরটি ভগাঙ্কুর, মুত্রপথ ও যোনিকে ঘিরে থাকে। অনুত্তেজিত অবস্থায় এটি মেয়েটির যোনিমুখ ঢেকে রাখে। এর ভিতরের স্তরে অসংখ্য ছোট ছোট তেল গ্রন্থি রয়েছে। প্রচূর স্নায়ুকোষ সমৃদ্ধ এ অঞ্চলটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং মেয়েটির যোনি অঞ্চলের উত্তেজনায় গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখে। মূলত যোনি চোষা বলতে এই অংশটুকু চোষাকেই বোঝায়।
ভগাঙ্কুরের নিচে যোনিদ্বার ও মুত্রপথের আশেপাশের প্রায় ফুটন্ত গোলাপের মত দেখতে এই অংশটিতে আঙ্গুল দিয়ে নাড়াচাড়া করে, জিহবা দিয়ে চেটে, আইসক্রিম চোষার মত করে চুষে ক্লাইটোরাল বা জি-স্পট অর্গাজমের(এ বিষয়ে বিস্তারিত একটু পরেই বলছি।) জন্য মেয়েটিকে পর্যাপ্ত উত্তেজিত করে তোলা হয়।
যোনি চোষার নিয়ম
৪.যোনিঃ নারীদেহের প্রজনন অংগের প্রধান অংশ। ম্যাবিয়া মাইনোরার ভেতরে ক্লাইটোরিস গ্ল্যনড ও মূত্রছিদ্রের নিচেই এর মুখ অবস্থিত। যোনির কথা বলার পূর্বে কুমারী মেয়েদের যোনিপর্দা (Hymen) নিয়ে একটা সাধারন ভুল ধারনা সম্পর্কে বলে নিই। যৌন বিষয়ে অনভিজ্ঞ কিছু লেখকের চটি পড়ে যারা কখনো সেক্স করেননি তাদের অনেকেরই ভুল ধারনা এই যে যোনির সামান্য একটু ভিতরে যোনিপর্দা অবস্থিত, এ ধারনা একসময় আমারও হয়েছিল।
কিন্ত প্রকৃত পক্ষে যোনির প্রবেশ মুখেই যোনি পর্দা অবস্থিত। তবে এ পর্দা যোনিকে আংশিক ঢেকে রাখে; এর মাঝে একটা ফুটো থাকে, যার মাধ্যমে মেয়েদের রজঃস্রাব নিসৃত হয়। বেশিরভাগ কুমারী মেয়ের পর্দার এ ফুটো দিয়ে ইচ্ছে করলে আঙ্গুল প্রবেশ করিয়ে হস্তমৈথুন করার মত বড় হলেও, একটি ছেলের লিঙ্গ প্রবেশ করার জন্য এটি যথেষ্ট বড় থাকে না। তাই প্রথম বারের মত কোন ছেলের লিঙ্গ প্রবেশ করার সময় পাতলা এ পর্দাটির মূল অংশটি ছিড়ে যায়।
যোনি
অবশ্য যোনিমুখের আশেপাশে এর অংশবিশেষ থেকে যায়। তবে এটা কিন্ত কুমারীত্বের একেবারে নির্ভরযোগ্য চিহ্ন নয়, অনেক কুমারী মেয়ের জন্মলগ্ন থেকেই পর্দার ফুটো এতই বড় থাকে যে পর্দার অস্তিত্বই খুজে পাওয়া যায় না। সে যাই হোক এবার মূল কথায় আসি। যোনি নারীদেহের অত্যন্ত যৌনস্পর্শকাতর একটি অংশ। ছেলেটি মেয়েটিকে আদর করার সময় ওর যোনি উত্তেজিত হয়ে আকারে স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে বেড়ে যায়।
এ প্রসারনের ফলে যোনিনলের ভেতরের দেয়ালের মিউকাস মেমব্রেন ও যোনিমুখের কাছাকাছি বার্থোলিন গ্লান্ড বা ছোট ভেস্টিবুলার গ্ল্যান্ড হতে কিছু পরিমান তরল নির্গত হয়ে যোনিমুখ ও পথকে পিচ্ছিল করে তোলে। মূলত এই তরলই আমরা যোনিরস হিসেবে চিনি। এটি কিছুটা অম্লধর্মী, তবে এটি গলধঃকরন করলে কোন ক্ষতির আশঙ্কা নেই। যোনির ভেতরের দেয়ালে রয়েছে বহু স্নায়ুপ্রান্ত যা প্রকৃতপক্ষে ক্লাইটোরিসের শাখা।
তাই এখানে কোনকিছু প্রবেশ করলে মেয়েটি দারুন আনন্দ লাভ করে। যোনিতে লিঙ্গ দিয়ে মৈথুন করা ছাড়াও জিহবা ঢুকিয়ে, আঙ্গুল দিয়ে যে মেয়েটিকে মজা দেওয়া যায় সেটা তো সবারই জানা। আর মৈথুন শুরুর পূর্বে কি কি কাজ করতে হবে তা তো এতক্ষন ধরে বলছিই তাইনা? যোনিতে মোটামুটিভাবে ১০-৩০ মিনিট ধরে মৈথুন করলে মেয়েদের অর্গাজম হয়ে থাকে। তবে মৈথুনের পূর্বে পরিপূর্ন উত্তেজনার অভাবে বহু মেয়ে তার সারা জীবনেও এ অর্গাজম লাভ করতে পারে না।
মেয়েদের যোনি চোষার নিয়ম কি
এরকম যাতে না হয় সেজন্যই যে আমার এসব লেখা তা তো আগেই বলেছি। আর একটা কথা, অনেকেরই ধারনা ভ্যাজিনাল অর্গাজমের (যোনিতে মৈথুনের ফলে অর্গাজম) সময় মেয়েদের যোনি থেকে গলগল করে রস বেরিয়ে আসে। এটা আংশিক ভুল ধারনা। মেয়েটিকে উত্তেজিত করার সময়ই ওর যোনি দিয়ে যে রস চুইয়ে চুইয়ে বের হয়ে আসে তার মাত্রা সামান্য বেড়ে যায় মাত্র। মেয়েদের প্রকৃত এজাকুলেশন (Ejaculation এর বাংলা ছেলেদের ক্ষেত্রে বীর্যপাত, মেয়েদের ক্ষেত্রে কি বলব?) ঘটে থাকে ওর জি-স্পট অর্গাজমের সময়। সে প্রসঙ্গে একটু পরেই আসছি।
৫.ক্লাইটোরিস (Clitoris): নারী দেহের সবচাইতে স্পর্শকাতর অংশ। এটি মূলত কয়েকটি স্পর্শকাতর স্থানের একটি সমন্বয় যা সমগ্র যোনি অঞ্চলের উপরে দৃশ্যমান ও ভিতরের অংশে ছড়িয়ে আছে। অনেকে মনে করে, ল্যাবিয়া মাইনরায় মুত্রছিদ্রের উপরে অবস্থিত সামান্য ফোলা স্থানটিই ক্লাইটোরিস। কিন্ত আসলে সেটি হল সমগ্র ক্লাইটোরিসের অংশসমূহের কেন্দ্রবিন্দু, ক্লাইটোরাল গ্ল্যান্স বা ভগাঙ্কুর। এর একটু উপরে মোনস পিউবিস অঞ্চলের ঠিক নিচেই সামান্য একটু স্থান জুড়ে যে যৌনকেশবিহীন অঞ্চল রয়েছে সেটির চামড়ার নিচে আছে ক্লাইটোরাল শ্যাফট মেয়েটির ক্লাইটোরাল অঞ্চল উত্তেজিত হলে নলাকার এই অংশটি রক্ত এসে স্ফিত হয়ে যাওয়ায় তা হাত দিয়ে অনুভব করা যায়। এই স্থানে জোরে চাপ না দিয়ে আঙ্গুল বুলিয়ে দেয়া বেশ আরামদায়ক। ক্লাইটোরিসের মূল কেন্দ্র ভগাঙ্কুরে মোটামুটিভাবে প্রায় ৮ হাজারের উপর স্নায়ুকেন্দ্র রয়েছে যা ছেলেদের লিঙ্গের মুন্ডির স্নায়ুকেন্দ্রের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন এবং মানবদেহের অন্য যেকোন অংশ থেকে বেশি। এর অত্যধিক স্পর্শকাতরতার জন্য একে উত্তেজিত করে তোলার পূর্বে অবশ্যই মেয়েটিকে চরম উত্তেজনার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে হবে।
কারন অনুত্তেজিত অবস্থায় এই টুপির মত অংশটিতে আঙ্গুল ঘষা বা জিহবা বুলানো মেয়েটির জন্য দারুন অসস্তির হতে পারে। ভগাঙ্কুরে আদর মূলত আলতোভাবে আঙ্গুলের স্পর্শ দিয়েই শুরু করা ভালো। সেক্ষেত্রে ভগাঙ্কুরের নিচে মেয়েটির ল্যাবিয়া মাইনোরায় জিহবা দিয়ে চাটতে চাটতে ভগাঙ্কুরে আঙ্গুলি করা যেতে পারে; আস্তে আস্তে আঙ্গুলের গতি বাড়াতে হবে। এভাবে মেয়েটিকে বেশ কিছুক্ষন আদর করার পর আস্তে আস্তে মুখ উপরে এনে জিহবা দিয়ে ভগাঙ্কুরে লাগিয়ে চাটা শুরু করতে হবে। এই সময় মেয়েটির যোনির ভেতরে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিলে সে আরো উত্তেজিত হতে পারে।
যোনির ভেতরে প্রথমে একটা তারপর দুটো আঙ্গুল নিয়ে যতটা সম্ভব গভীরে নিয়ে আবার বের করে আনতে হবে, এসময় যোনির দেয়ালে তেমন একটা চাপ না দিলেই ভালো। এরকম কিছুক্ষন করে আবার মুখ নামিয়ে যোনি মুখ জিহবা দিয়ে চাটতে চাটতে ভগাঙ্কুর আঙ্গুল দিয়ে ঘষা শুরু করা যায়। এসময় যোনির ভেতরে একই সাথে আঙ্গুল ও জিহবা ঢুকিয়ে আবার বের করা যেতে পারে। মূলত এভাবেই যতক্ষন পর্যন্ত মেয়েটির অর্গাজম না হয় চালিয়ে যেতে হবে। আর এই পুরো সময়টাতেই অবশ্যই যে হাতটি খালি থাকবে সে হাত দিয়ে মেয়েটির দেহের উপরাংশে যতটুক পারা যায় একটু হাত বুলিয়ে বা একটু চেপে ধরে সংযোগ রক্ষা করতে হবে। এই ভাবে যে অর্গাজম হয় তাকে বলা হয় ক্লাইটোরাল অর্গাজম।
৬.জি-স্পটঃ মেয়েদের যোনির অংশসমুহের মধ্যে সবচাইতে আলোচিত অংশ এটি। আবিস্কারকের নামানুসারে একে গ্রাফেনবার্গ স্পট বা সংক্ষেপে জি-স্পট বলে। এটি মেয়েদের দেহের সবচাইতে স্পর্শকাতর ও আনন্দদায়ক অংশ হিসেবে পরিচিত। সাম্প্রতিক গবেষনায় জানা গিয়েছে, যে জি-স্পট মূলত ক্লাইটোরিসেরই একটি আংশিক বিচ্ছিন্ন অংশ। অত্যন্ত সংবেদনশীল এ অঙ্গটির অবস্থান হল যোনিপথের সম্মুখ দেয়ালের প্রায় দুই ইঞ্চি মতন ভেতরে,
মেয়েদের যোনি চোষার নিয়ম মেয়েদের মূত্রথলির (Bludder) নিচে। যোনির ভেতরটা আঙ্গুল দিয়ে অনুভব করলে, এর প্রবেশপথ থেকে কিছুদুর পর্যন্ত সম্মুখ দেয়ালে (যেদিকে পায়ু আছে তার বিপরীত দিকের দেয়ালে) একটু অমসৃন যায়গার আভাস পাওয়া যাবে (অনেকটা আমাদের মুখের ভেতরে জিহবার বিপরীত দিকে উপরে যে অমসৃন অংশটি আছে তার মত)।
এ যায়গাটি ফুরিয়ে গেলেই একটি অগভীর গর্তের মত অংশ পাওয়া যাবে। এই গর্তের মত অংশেই জি-স্পট অবস্থিত। কিন্ত আঙ্গুল ঢুকাতে ঢুকাতে যোনির সম্মুখ দেয়ালের অমসৃন যায়গা পার হয়েও জি স্পট না পেয়ে মসৃন কোন অংশে পৌছে গেলে বুঝবেন আপনি জি-স্পট পার করে এসেছেন, তাই আবার আঙ্গুল নিচে নামিয়ে এনে খুজতে হবে। আঙ্গুলের ডগা দিয়ে জি-স্পট টিপে টিপে মেয়েদের সাধারন ক্লাইটোরাল অর্গাজমের থেকেও বেশি আনন্দদায়ক জি-স্পট অর্গাজম করানো যায়।
যে মেয়ে সহজে শীৎকার করে না সেও এই অর্গাজমের সময় পাগলের মত শীৎকার করে উঠবে। এই অর্গাজমেই মূলত মেয়েদের এজাকুলেশন হয়। যারা জানেননা তারা অবাক হবেন একথা শুনে যে মেয়েদের এ এজকুলেটরী রস যোনি দিয়ে নয়, ওদের মূত্রছিদ্র দিয়ে বের হয়ে আসে। অনেক মেয়ে এই অর্গাজম লাভ করেও মূত্রছিদ্র দিয়ে মূত্র বের হয়ে এসেছে মনে করে চরম লজ্জিত হয়ে পরে। কিন্ত পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে এই মূত্র নয়।
এতে ক্রিয়েটিনিন, Prostatic acid phosphatase, গ্লুকোজ ফ্রুক্টোজ ইত্যাদি রয়েছে। যা অনেকটা ছেলেদের প্রস্টেট থেকে নিসৃত বীর্যের উপাদান গুলোর মত। এই রসের উৎস Para-urethral tissue মতান্তরে Skene’s glands. কিন্ত জি-স্পট অর্গাজমের জন্যও মেয়েটিকে জন্য উপযুক্ত উত্তেজিত করে তোলা ক্লাইটোরাল অর্গাজমের চেয়েও বেশি দরকার।
কারন জি-স্পট ক্লাইটোরাল গ্ল্যান্ড বা ভগাঙ্কুর থেকেও স্পর্শকাতর। তাই অনুত্তেজিত অবস্থা সেটা স্পর্শ করা মেয়েটির জন্য চরম অসস্তির। জি-স্পট অর্গাজমের জন্য মেয়েটিকে প্রস্তুত করে তোলা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া বলে আপাতত এ বিষয়ে আর কিছু বলছি না। পরে এ নিয়ে আলাদা ভাবে বিস্তারিত কিছু লিখব।