Close Menu
    Facebook X (Twitter) Instagram
    রংপুর ডেইলী
    • Home
    • Rangpur
    • International
    • Islamic
    • Life Style
    • Insurance
    • Health
    Facebook X (Twitter) Instagram
    রংপুর ডেইলী
    Motivation

    মুদ্রাস্ফীতি কি ও কীভাবে ঘটে?

    মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়াBy মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়াAugust 9, 2023Updated:January 11, 2025No Comments6 Mins Read
    Default Image

    মুদ্রাস্ফীতি হলো বর্তমান অর্থব্যবস্থার সবচেয়ে বড় জালিয়াতিগুলোর মধ্যে একটি। মুদ্রাস্ফীতি ঘটে যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও পরিষেবার দাম বাড়তে থাকে। যখন এটা ঘটে তখন আমাদের পকেটে থাকা টাকার দাম কমে যায়, আমরা একই দামে আগের পরিমাণ জিনিস কিনতে পারি না।
    সামান্য মূল্যস্ফীতি স্বাভাবিক এবং অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, কিন্তু অত্যধিক মুদ্রাস্ফীতি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এটি মানুষের জন্য খাদ্য এবং বাসস্থানের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর ব্যয়ভার বহন করা কঠিন করে তুলতে পারে। এটি ব্যবসার ভবিষ্যতকেও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে। তাই ব্যবসায়ীরা আরও বেশি কর্মী নিয়োগ বা নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগ করার সাহস করে উঠতে পারে না।

    কেউ কেউ বিশ্বাস করে যে মুদ্রাস্ফীতি শুধুমাত্র অর্থনীতির একটি স্বাভাবিক অংশ নয় বরং শক্তিশালী গোষ্ঠীগুলোর একটি পরিকল্পিত পরিকল্পনা। তারা মনে করে যে কিছু সংস্থা ইচ্ছাকৃতভাবে অর্থ নিয়ন্ত্রণ করতে বা সরকারী ব্যয়কে পরিচালনা করার জন্য দাম বাড়ায়।

    এই নিবন্ধে আমরা “মুদ্রাস্ফীতির কেলেঙ্কারী” নিয়ে আলোচনা করব করব এবং এর পক্ষে এবং বিপক্ষে কী প্রমাণ রয়েছে তা দেখব। অতীতে মুদ্রাস্ফীতি কীভাবে অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে এবং কীভাবে এটি আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে তাও আমরা দেখব।

    মুদ্রাস্ফীতিকে একটি ধাঁধা হিসাবে কল্পনা করুন। এটা কীভাবে ঘটে তা আমাদের বের করতে হবে। দাম বাড়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে। কখনও কখনও যখন মানুষের কাছে ব্যয় করার মতো বেশি অর্থ থাকে, তারা আরও জিনিস কিনতে চায়। পণ্য ও পরিষেবার এই উচ্চ চাহিদার কারণে বিক্রেতারা তাদের দাম বাড়াতে পারে। এটিকে “ডিমান্ড পুল মুদ্রাস্ফীতি” বলা হয়।

    কখনো কখনো জিনিস তৈরির খরচ ব্যয়বহুল হয়ে যায়। উদাহরণস্বরূপ, যদি কাঁচামালের দাম বেড়ে যায়, ব্যবসাগুলো তাদের পণ্যগুলোর কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধিকে কাভার করার জন্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। এটা “কস্ট-পুশ মুদ্রাস্ফীতি” নামে পরিচিত।

    মুদ্রাস্ফীতির উপর নজর রাখতে বিশেষজ্ঞরা কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) এবং প্রডিউসার প্রাইস ইনডেক্স (পিপিআই) এর মতো বিশেষ টুল ব্যবহার করেন। সময়ের সাথে সাথে কতটা দাম পরিবর্তিত হচ্ছে তা পরিমাপ করতে তাদের সাহায্য করে।

    কিন্তু এসবের পেছনেও কিছু কথা আছে। কিছু লোক বিশ্বাস করে যে ব্যাংক বা সরকারের মতো কিছু বড় সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব সুবিধার জন্য গোপনে মুদ্রাস্ফীতি পরিচালনা করে। তারা মনে করে যে এই দলগুলো পর্দার আড়ালে সুতা টানছে, যার ফলে পণ্যের দাম হড়হড় করে বেড়ে যাচ্ছে।

    আমরা নিবন্ধের পরবর্তী অংশে “মুদ্রাস্ফীতির কেলেঙ্কারী”-বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব এবং এর কোন সত্যতা আছে কিনা তা দেখব। মুদ্রাস্ফীতি এবং এর লুকানো দিকগুলি বুঝতে পারলে আমরা আরো ভালো আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতে পারব। এই বিভ্রান্তিকর অর্থনৈতিক সময়ে নিজেদের রক্ষা করতে পারব।
    আসুন আমাদের গোয়েন্দার টুপি পরে “মুদ্রাস্ফীতির কেলেংকারী”-র রহস্য উন্মোচন করি। কিছু লোক যুক্তি দেখায় যে মুদ্রাস্ফীতি অর্থনীতির স্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। বরং মুদ্রাস্ফীতি হলো শক্তিশালী গোষ্ঠীগুলির নিজেদের লাভবান করার এক গোপন পরিকল্পনা।

    মুদ্রাস্ফীতির ব্যাপারে একটি ধারণা হল, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলো অর্থাৎ যেসব ব্যাংক টাকা ও সুদের হারের দায়িত্বে নিয়োজিত তারা ইচ্ছাকৃতভাবে মুদ্রাস্ফীতিকে প্রভাবিত করতে পারে। তারা টাকার মান নিয়ন্ত্রণ করতে এবং অর্থনীতিকে উদ্দীপিত বা মন্থর করতে এটি করে। টাকা যদি দ্রুত মান হারাতে থাকে তাহলে মানুষ বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হবে। যা অর্থনৈতিক কার্যকলাপকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। অর্থনীতি চাঙ্গা হয় এতে। যাইহোক, এর ফলে দামও খুব দ্রুত বেড়ে যেতে পারে। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হিমশিম খেতে হয়।

    অন্যরা মনে করে যে সরকার মুদ্রাস্ফীতিকে একটি গোপন কর হিসাবে ব্যবহার করে। দাম বাড়ার সাথে সাথে জনগণ পণ্য ও পরিষেবার জন্য আরও বেশি টাকা ব্যয় করে এবং এই অতিরিক্ত অর্থ সরকারের পকেটে যায়। এটা স্পষ্টভাবে ট্যাক্স না বাড়িয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার মতো, তাই নাগরিকদের পক্ষে বিষয়টা ধরতে পারা কঠিন।

    যদিও এই ধারণাগুলি ষড়যন্ত্র তত্ত্বের মতো শোনাতে পারে। তবে এসবের পক্ষে নানা প্রমাণও আছে। অর্থনীতিবিদ এবং বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে দীর্ঘকাল ধরে বিতর্ক করছেন।

    “মুদ্রাস্ফীতির কেলেঙ্কারী” দাবির পিছনে কোন সত্যতা আছে কিনা তা দেখতে, আসুন আমরা অতীতে ফিরে যাই এবং ঐতিহাসিক উদাহরণগুলি দেখি। ইতিহাস জুড়ে, এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যেখানে প্রকৃতপক্ষে নির্দিষ্ট কারণে মুদ্রাস্ফীতির হেরফের হয়েছে।

    কিছু কিছু ক্ষেত্রে, আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন সরকার ঋণ পরিশোধ করতে বা তাদের ব্যয় নির্বাহের জন্য আরও টাকা ছাপানোর আশ্রয় নেয়। এই অত্যধিক টাকা ছাপানোর ফলে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যায়, যার ফলে জনসাধারণের জন্য মারাত্মক অর্থনৈতিক অসুবিধা হয়।

    একটি বিখ্যাত ঐতিহাসিক উদাহরণ হল ১৯২০ এর দশকের গোড়ার দিকে জার্মানিতে হাইপারইনফ্লেশন বা অতি-মুদ্রাস্ফীতি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ক্ষতিপূরণের খরচ মেটাতে সরকার বিপুল পরিমাণ অর্থ ছাপায়। ফলস্বরূপ, দাম এমন চরম স্তরে পৌঁছে যে মানুষকে কেবল রুটির মতো মৌলিক জিনিসপাতি কেনার জন্য টাকা ভর্তি ঠেলাগাড়ি বহন করতে হয়েছিল।

    আরেকটি উদাহরণ দেখা যায় সেসব দেশে যে দেশগুলো অর্থনৈতিক সংকট বা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সম্মুখীন হয়। ক্ষমতা বজায় রাখার মরিয়া প্রচেষ্টায়, নেতারা তাদের এজেন্ডা অনুসারে মুদ্রাস্ফীতির কারসাজি করে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড শুধুমাত্র মানুষের সঞ্চয়ের অবমূল্যায়নই করেনি বরং অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও সামাজিক অস্থিরতার পেছনেও ভূমিকা রেখেছে।

    এসব ঐতিহাসিক ঘটনা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে অনেক সময় সরকার বা ক্ষমতাবানরা ব্যক্তিগত লোভের স্বার্থের বশবর্তী হয়ে টাকা ছাপায়। তাই বলে যে সর্বদাই মুদ্রাস্ফীতির পেছনে ষড়যন্ত্র দায়ী থাকে তা নয়। অর্থনৈতিক মারপ্যাঁচও এর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে অনেক সময়।

    এখন কথা হচ্ছে, মুদ্রাস্ফীতির সময় আপনি কি করবেন বা কি কি পদক্ষেপ নিতে পারেন?

    মুদ্রাস্ফীতির সময়ে, ব্যক্তি এবং ব্যবসার জন্য তাদের আর্থিক ও বিনিয়োগ রক্ষার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য। মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব কমাতে সাহায্য করার জন্য কিছু ব্যবহারিক টিপস নিয়ে আমি আলোচনা করব:

    বিনিয়োগে বৈচিত্র্য আনুন: আপনার বিনিয়োগে বৈচিত্র্য আনার অর্থ হল আপনার অর্থকে বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করুন সব টাকা এক জায়গায় বিনিয়োগ না করে। এই কৌশলটি ঝুঁকি কমাতে এবং মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব থেকে আপনার পোর্টফোলিওকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ।

    রিয়েল অ্যাসেটে বিনিয়োগ করুন: রিয়েল এস্টেট, মূল্যবান ধাতু এবং পণ্যের মতো রিয়েল অ্যাসেটগুলো মুদ্রাস্ফীতির পরেও তার মূল্য ধরে রাখতে পারে। ক্রমবর্ধমান দামের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আপনি রিয়েল অ্যাসেটে যেমন জায়গা, জমি, সোনায় বিনিয়োগ করুন।

    আপনার বাজেট পর্যালোচনা এবং সামঞ্জস্য করুন: মুদ্রাস্ফীতির সময়ে আপনার ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। আপনার বাজেট পর্যালোচনা করুন এবং অ-প্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনীয়তার উপর ফোকাস করুন এবং অর্থ সঞ্চয় করার উপায় সন্ধান করুন।

    মুদ্রাস্ফীতি-সূচক বিনিয়োগ বিবেচনা করুন: কিছু বিনিয়োগ, যেমন ট্রেজারি ইনফ্লেশন-প্রোটেক্টেড সিকিউরিটিজ (টিআইপিএস), বিশেষভাবে মুদ্রাস্ফীতির সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। TIPS গ্রাহক মূল্য সূচকের (CPI) পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করে তাদের মান সামঞ্জস্য করে। তাদের মানের সামঞ্জস্যতা ক্রমবর্ধমান দামের বিরুদ্ধে সুরক্ষার একটি পরিমাপ বা রূপরেখা দেয়।

    ঋণ পরিশোধ করুন: উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি সময়ের সাথে সাথে অর্থের মূল্য হ্রাস করে, ভবিষ্যতে ঋণ পরিশোধ করা সহজ করে তোলে।

    মূল্যস্ফীতি-সামঞ্জস্যপূর্ণ বেতন অফার করুন: আপনি যদি একজন নিয়োগকর্তা হন, তাহলে কর্মীদের মুদ্রাস্ফীতি-সামঞ্জস্যপূর্ণ বেতন দেওয়ার কথা বিবেচনা করুন। এটি তাদের ক্রয় ক্ষমতা বজায় রাখতে এবং ক্রমবর্ধমান দামের সময়ে মনোবল ঠিক রাখতে সাহায্য করতে পারে।

    জরুরী সঞ্চয় করুন: মুদ্রাস্ফীতি অপ্রত্যাশিত মূল্য বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যেতে পারে। একটি শক্তিশালী জরুরী সঞ্চয় তহবিল থাকা চ্যালেঞ্জিং সময়ে আপনাকে নিরাপত্তার জাল ছুঁড়ে দিতে পারে।

    পেশাদার আর্থিক পরামর্শ নিন: একজন আর্থিক উপদেষ্টার সাথে পরামর্শ করুন যিনি আপনার নির্দিষ্ট আর্থিক পরিস্থিতি এবং লক্ষ্যগুলো বিবেচনায় নিয়ে আপনাকে পরামর্শ দিতে পারবে।

    আশা করা যায়, এই বিষয়গুলো মাথায় রাখলে মুদ্রাস্ফীতি আপনাকে তেমন প্রভাবিত করতে পারবে না।

    মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া
    • Website

    আমার নাম মাহাজাবিন শরমিন প্রিয়া। আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেছি। ইসলাম, প্রযুক্তি এবং গণিতসহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখিতে আমার গভীর আগ্রহ রয়েছে। আমার জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে আমি পাঠকদের জন্য অর্থবহ ও আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরি করার চেষ্টা করি। মাহাজাবিনের লেখা বিষয়বস্তু তথ্যসমৃদ্ধ এবং পাঠকের জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গি বৃদ্ধিতে সহায়ক হিসেবে প্রমাণিত হয়।

    Related Posts

    মন ভাল রাখার গোপন টিপস

    February 4, 2025

    আশায় বেঁচে থাকা

    January 28, 2025

    জীবন নিয়ে যাদের অনিশ্চয়তা?

    January 19, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সাম্প্রতিক
    • সুস্থ যৌনজীবনের জন্য জরুরি ১০টি পরামর্শ
    • গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর যত্নের সম্পূর্ণ গাইড
    • ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীর ও মনকে সুস্থ রাখার কৌশল
    • ডিপ্রেশন মোকাবিলায় প্রাকৃতিক সমাধান
    • ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা
    • শিশুদের সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করার উপায়
    • শীতকালে সুস্থ থাকার ৭টি টিপস
    • গরমে সুস্থ থাকার জন্য করণীয় ও বর্জনীয়
    • শরীরের জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের গুরুত্ব
    • মানসিক চাপ কমিয়ে সুস্থ থাকার কৌশল
    • শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপায়
    • চোখের সুস্থতা বজায় রাখার ঘরোয়া টিপস
    • হার্টের যত্নে কোন খাবার বেশি খাবেন
    • উচ্চ রক্তচাপ কমানোর প্রাকৃতিক পদ্ধতি
    • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ উপায়
    • প্রেমে একে অপরকে সময় দেওয়ার গুরুত্ব
    • দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে নতুন করে সাজানোর কৌশল
    • প্রেমে আস্থা নষ্ট হলে কীভাবে ফিরিয়ে আনবেন
    • সোশ্যাল মিডিয়ায় রিলেশনশিপ পরিচালনার টিপস
    • প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে রাগ কমানোর ৫টি পদ্ধতি
    Facebook X (Twitter) Instagram Pinterest

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.