শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সোনারগাঁ থানায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিবের অবরোধের পরে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় এবং যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতার বাড়িঘর ও ব্যবসায়ে ভাংচুরের ঘটনায় আরও তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার রয়্যাল রিসোর্টে মামুনুল হক।
মামুনুল হককে একটি মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে। সোনারগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক নাসির উদ্দিন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কেন্দ্রে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার অভিযোগে স্থানীয় হেফাজতে ইসলাম ও বিএনপির নেতাকর্মীসহ ১১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন দপ্তর.
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামকে এই মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে। রফিকুল ইসলাম হেফাজতে ইসলাম ও বিএনপির ১১১ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
অন্য মামলা দায়ের করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনির বাবা শাহ জামাল তোতা। এ মামলায় বিএনপি ও হেফাজতে ইসলাম একটি মামলা দায়ের করেছেন 6 জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩০০ জন বেনামে অভিযুক্তকে।
এদিকে, শুক্রবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হেফাজতে ইসলাম কর্মী খালেদ সাইফুল্লাহ (৩৪), কাজী সামির (৩২), অহিদুল ইসলাম (৩৮) ও আবদুল আউয়াল (৩৯) কে আটক করেছে। আটককৃতদের সাত দিনেরও বেশি রিমান্ডে প্রেরণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের শান্তিনগর দারুন নাজত নুরানী মাদ্রাসায় গোপনে সরকারবিরোধী বৈঠক করার অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত ছয় হেফাজতে ইসলাম কর্মীকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাত জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে -দিনের রিমান্ডে। আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। রিমান্ড শুনানি হবে আগামী রবিবার।