যশোরের শার্শা উপজেলায় কর্ণাভাইরাসগুলির মধ্যেও কৃষি শ্রমিকদের বাজার পুরোদমে চলছে। এই সকালে প্রতিদিন সকালে আলো জ্বলতে বসে শ্রম ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ভিড়।
কৃষি শ্রমিকদের এই বাজারটি প্রতি বছর ধান কাটা, মাড়াই ও রোপনের সময় নবরন-সাতক্ষীরা জংশনে বসে। পুরো মরসুম জুড়ে গেছে।
শ্রমিকরা জানান, তারা সাতক্ষীরার আশাশুনি, দেবহাটা, কালীগঞ্জ ও শ্যামনগর থেকে এসেছেন। স্থানীয়ভাবে, এই বাজারের শ্রমিকরা ‘দক্ষিণ অঞ্চল’ নামে পরিচিত। এই বাজারে দর কষাকষির মাধ্যমে মানুষের শ্রম ব্যবসা হয়।
এই বাজারে কোনও নিয়ন্ত্রক নেই। কোনও ভাড়া বা সমিতি ঝামেলা নেই। বাজার কমিটি নেই। শ্রম ক্রেতা এবং বিক্রেতারা এখানে তাদের নিজস্ব গতিতে যান। স্থানীয়দের মতে, এখানে প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক শ্রমিক পাচার হয়।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের মোস্তফা গাজী ১৪ সদস্যের একটি শ্রমিক দলের নেতা।
মোস্তফা (৪৮) বলেছেন: “মহাজনরা তিন দিন ধরে টাকা দিয়ে আসছে। আর আমি প্রতি বিঘায় ৪২০০ টাকায় ঘরে ধান বিতরণ করছি। উত্তাপের জন্য কাজ করা খুব কঠিন।”
তারা শারজায় নাভরান কাজিরবার গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মাঠে কাজ করছেন। আনোয়ার বলেন, “আমি এবার মাখলার বিলে ২ big বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি।” এখন খুব গরম। ঝড় যে কোনও সময় হতে পারে। তাই আমি ভাত নিয়ে অনেক সমস্যায় পড়েছি। আমি 14 জনের এই দলটি দ্রুত ধান ঘরে নেওয়ার জন্য নিয়ে এসেছি।
শরোশা উপজেলা কৃষি অফিসার সৌমতম কুমার শীল জানান, চলতি মৌসুমে জেলার বোরো ধানের বাম্পার ফসল তোলা হয়েছে ২৩,৬৪০হেক্টর জমিতে। তিনি জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়ে স্বল্প সময়ে মাঠ থেকে ধান তুলতে ভিড় হচ্ছে। একই সাথে সকলেই ধান কাটা শুরু করায় উপজেলার সকল অঞ্চলে কৃষি শ্রমিকের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বাইরের শ্রমিকদের আগমনে সেই অভাব অনেকটাই পূরণ হচ্ছে।
কৃষি অফিসার সৌমতম কুমার শীল বলেছিলেন যে করোনাভাইরাস বিপদ সত্ত্বেও ফসল কাটা ছাড়া উপায় নেই। তবে দূর থেকে শ্রমিকরা অঞ্চল থেকে অনুমতি নিয়ে এখানে আসছেন। তদ্ব্যতীত, প্রশাসন সর্বদা স্বাস্থ্যবিধি বিধি পালনের প্রচার করে। ইতোমধ্যে উপজেলার ৮০ শতাংশ জমির ফসল তোলা হয়েছে।
নখরান ফজিলাতুন নেছা মহিলা কলেজের মনস্তত্ত্বের অধ্যাপক জাকিয়া ইশরাত জাহান রানী সাতক্ষীরায় থাকেন।
তিনি বলেন, সাতক্ষীরায় কৃষি শ্রমিকদের চাকরি নেই বলে সেখানে মাছ চাষ বেশি হয়। তদুপরি, এই সময়ে হাতে কম কাজ হওয়ায় স্বল্প সময়ে বেশি বেশি রোজগারের আশায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় কাজ করতে এসেছিলেন এই শ্রমিকরা।