চলমান মারাত্মক লকডাউন চলাকালীন ফেনীতে শহীদুল ইসলাম নামে মানসিকভাবে অসুস্থ যুবকের সাথে মারামারির পরে যশমন্ত মজুমদার নামে এক পুলিশ উপপরিদর্শককে আটকে দেওয়া হয়েছে।
গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মইনুল ইসলাম জানান, যুবক মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল। সে কারণেই তিনি এরকম আচরণ করেছেন। এক্ষেত্রে পুলিশ আরও দায়িত্বশীলতার সাথে অভিনয় করতে পারত।
তিনি জানান, দায়িত্বশীল আচরণ না করার জন্য ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা এসআই যশমন্ত মজুমদারকে ফেনী মডেল থানা থেকে বন্ধ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছিল।
পুলিশ সুপার নুরুনবী জানান, এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একজন উপ-পরিদর্শক, একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক এবং একজন কনস্টেবলকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
ঘটনাটি ফেনী শহরের ট্রাঙ্ক রোডের মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ঘটে। এলোমেলো করার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল।
সেখানকার লোকজন জানিয়েছেন, রবিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে লকডাউন চলাকালীন শহীদুল ইসলামকে রাস্তায় নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি পুলিশের সাথে তর্ক শুরু করেন। এ সময় তিনি পুলিশকে জিজ্ঞাসা করলেন এটি পুলিশ স্টেটে পরিণত হয়েছে কিনা? একপর্যায়ে পুলিশ তাকে হত্যা করতে গেলে তিনি পুলিশকে মারধরও শুরু করেন।
সেখানে উপস্থিত কেউ যদি মোবাইল ফোনে ঘটনাটি ক্যাপচার করে ফেসবুকে আপলোড করে তবে তা ভাইরাল হয়ে যায়। নিহত শহিদুল ইসলামের বাড়ি ফেনী সদর উপজেলার মোতবি ইউনিয়নের ভুনার হাটে।