আমরা টিভিতে,খবরের কাগজে বাফার রাষ্ট্রের কথা জেনেছি।তোমরা জেনে অবাক হবে যে আমাদের দেহেও কিন্তু বাফার রয়েছে।এই বাফার সিস্টেমের কাজ হলো অতিরিক্ত এসিড বা ক্ষার যোগ হওয়ার ফলে পিএইচ এর মানের পরিবর্তন হওয়াকে রোধ করা।নির্দিষ্ট পিএইচ ধরে রাখতে বাফার ভূমিকা পালন করে।বাফারে থাকে একটি দূর্বল এসিড এবং এর অনুবন্ধী বা কনজুগেট বেস।
আমাদের দেহে মূলত পাঁচ ধরনের বাফার সিস্টেম রয়েছে-
১.বাইকার্বোনেট বাফার
২.ফসফেট বাফার
৩.প্রোটিন বাফার
৪.হিমোগ্লোবিন বাফার
৫.এমোনিয়া বাফার
★বাইকার্বোনেট বাফার:
এখানে দূর্বল এসিড হিসেবে কার্বোনিক এসিড এবং কনজুগেট বেস হিসেবে বাইকার্বোনেট আয়ন থাকে।এরা মূলত Extracellular fluid এ থাকে।
★ফসফেট বাফার:
এখানে দূর্বল এসিড হিসেবে এসিড ফসফেট এবং অনুবন্ধী ক্ষার হিসেবে ক্ষারীয় ফসফেট থাকে।এদের কাজের ক্ষেত্র হলো Intracellular fluid.
★প্রোটিন বাফার:
ফসফেট বাফারের মত প্রোটিন বাফারও intracellular fluid এ কাজ করে।এক্ষেত্রে দূর্বল অম্ল হিসেবে অম্লীয় প্রোটিন কাজ করে।আর অনুবন্ধী ক্ষার হিসেবে থাকে ক্ষারীয় প্রোটিন।
★হিমোগ্লোবিন বাফার:
আমাদের রক্তে বাফার সিস্টেমের ভূমিকা পালন করে হিমোগ্লোবিন বাফার।এখানে দূর্বল অম্ল এবং অনুবন্ধী ক্ষার হিসেবে কাজ করে যথাক্রমে এসিড হিমোগ্লোবিন ও বেসিক হিমোগ্লোবিন।
★এমোনিয়া বাফার:
আমাদের মূত্রের সঠিক পিএইচ বজায় রাখতে এমোনিয়া বাফার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এমোনিয়াম আয়ন ও এমোনিয়া যথাক্রমে দূর্বল এসিড ও কনজুগেট বেস হিসেবে কাজ করে।
অর্থাৎ,এই পাঁচটি বাফার আমাদের দেহের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থেকে প্রতিনিয়ত দেহের সমগ্র অংশের পিএইচ এর মান ঠিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছে।ফলে আমরা থাকছি সুস্থ ও স্বাভাবিক।
©দীপা সিকদার জ্যোতি