“মাতৃত্ব” এমন একটি শব্দ যার প্রতিটি অক্ষরে মিশে আছে একটা করে প্রাপ্তির স্বাদ। মা এবং শিশু দুজনের প্রান এক করে একটি শরীরে ভেতরে দুজন মানুষ এর অসিত্ব। মায়ের চলার পথ সহজ নয়। গর্ভে ধারন ওর পর থেকে দীর্ঘসময় বিভিন্ন প্রতিকুল অবস্থাকে পারি দিয়ে এই যাত্রার সমাপ্তি ঘটে। মাতৃত্বের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো একটি সুস্থ শিশু কে পৃথিবীতে নিয়ে আসা। তাকে পৃথিবীর নরম আলো আর উষ্ণ ভালোবাসা দেয়া।
মায়ের এই অন্য রকম যুদ্ধ যাত্রার সঙ্গী কিন্তু শিশু।মায়ের শরীরের সাথে নিজের বিকাশ করে চলা।মায়ের খাদ্য তার খাদ্য। মায়ের অভিমান তার অভিমান। মায়ের সকল ভালোবাসাই তার ভালোবাসা। শিশুর রক্তে বেড়ে ওঠে এই প্রতিটা পর্বের উপসর্গ। তবে মাতৃত্ব দায়িত্ব আজীবন যেন থেকে যায়। শিশু জন্মের পর হতে শিশুর সামনের আগামী দিন গুলো তেও মায়ের ভালোবাসা মায়ের আদর বাঁচিয়ে রাখে তাকে। সকল প্রতিকূল অবস্থা থেকে আগলে রাখা, সুন্দর ভবিষ্যৎ এ তাকে আলোর পথে দেখিয়ে দেয়া, তাকে আগামীর জন্য প্রস্তুত করা মাতৃত্বের আরেক টি অংশ।শিশু যখন মায়ের পেট থেকে পৃথিবীর আলো স্পর্শ করে যে জানে না তার আগামী কি।
সেই আগামীর পথ দেখিয়ে দেয় মা। শিশু জানে না কোন পথ সঠিক, মায়ের ভালোবাসা তাকে শেখায় কোন পথে যেতে হবে। মাতৃত্ব শুধু ভালোবাসার হয়না অনেক সময় কঠিন কিছু বাস্তবতার স্বীকার এ তা হয়ে যায় অপ্রতিরোধ্য। কষ্ট এবং ব্যাথা নিয়ে লড়াই করতে হয় শুধু মাত্র আগামী প্রজন্ম যেন বেড়ে ওঠে তার জন্য। মায়ের সকল কষ্ট সে মুহূর্তে তুচ্ছ হয় যখন সন্তান সত্যি মানুষ হয়ে পৃথিবীকে উপহার দেয় অসম্ভব ভালোবাসা আর মুগ্ধতা। সেদিন মাতৃত্ব ও পায় তার পুরো গৌরব। মায়ের সেই সাধনা,সে শিক্ষা,যে আত্নত্যাগ সেদিন রঙিন হয়ে ওঠে। পৃথিবীর পথে তাই বারবার মাতৃত্ব শব্দ টা সম্মানের এবং ভালোবাসার। একটা শরীর দুটি বন্ধন এবং আগামীর ঝলমলে স্বপ্ন আসে পৃথিবীতে।
যতদিন প্রাণ রয়েছে পৃথিবীর তা রয়েছে মাতৃত্বের জন্য। পৃথিবীর প্রাণ হলে মা। এবং সেটার শুরু হলো “মাতৃত্ব”।
সাংবাদিক: খাইরুন্নেছা তাকিয়া