কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় ইজিবাইক সমিতি গঠন ও টোল আদায় নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে ছোটমহেশখালী ইউনিয়নের লম্বাঘোনা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
ছোটমহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রিয়ানুল ইসলাম ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল করিমের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী রিয়ানুল ইসলামের কাছে পরাজিত হন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এনামুল করিম। দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ওই সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্যপদ থেকে রিয়ানুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়।
আহতদের মধ্যে ছয়জনকে প্রথমে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁরা হলেন ছোটমহেশখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়ানুল ইসলাম (৩২), আমানুল ইসলাম (৩৫), জাহেদুল ইসলাম (৩০), ইউনিয়নের শ্রমিকলীগের সদস্য সচিব হেলাল উদ্দিন (৩০), ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল করিম (৪৫) ও মোজাম্মেল হক (৪২)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইজিবাইক সমিতি গঠন ও টোল আদায়কে কেন্দ্র করে কয়েক মাস ধরে ইউপি চেয়ারম্যান রিয়ানুল ইসলাম ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল করিমের লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলছে। শুক্রবার দুপুরে ছোটমহেশখালী ইউনিয়নের লম্বাঘোনা বাজারে চেয়ারম্যানের পক্ষের লোকজন ইজিবাইক সমিতির টোল আদায় করতে গেলে এনামুল করিমের ছোটভাই মোজাম্মেল হক বাঁধা দেন। এ সময় চেয়ারম্যানের ছোটভাই জাহেদুল ইসলামের সঙ্গে মোজাম্মেল হকের হাতাহাতি হয়। পরে চেয়ারম্যান রিয়ানুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি মিমাংসা করে দেন।
বিকেল পাঁচটার দিকে এনামুল করিম তাঁর লোকজন নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে হামলা চালিয়ে দরজা ও জানালা ভাংচুর করেন। পরে পাল্টা হামলা চালান রিয়ানুল ইসলামের লোকজন। এক পর্যায়ে দুইপক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১২ জন আহত হন। স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।