সিজারিয়ান অপারেশনের সময় মূত্রনালী কেটে যাওয়ার পরে গাইবান্ধার সাঘাটার বনরপাড়া ডিজিটাল হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
বিষয়টি ঢাকতে নবজাতকের মরদেহ কার্টুন করে আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এমনকি সংবাদটি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সাংবাদিকদের হাসপাতালে প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছিল।
খবর পেয়ে পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসপাতালে যান। তবে এই ঘটনায় এখনও কেউ পদক্ষেপ নেয়নি।
ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে সাগাটা রেলওয়ে কলোনি থেকে মোমিনাকে বনরপাড়া ডিজিটাল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে বিকেলে সিজারিয়ান বিভাগে তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের কয়েক ঘন্টা পরে কার্টুনিস্টের মরদেহ মমিনার আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তারা বাড়িতে এলে স্বজনরা দেখতে পান যে নবজাতকের মূত্রনালীর শরীরের বিভিন্ন অংশ কাটা হচ্ছে। পরে তারা হাসপাতালে যোগাযোগ করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের গলাধাক্কা দিয়ে বের করে।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে দশটার দিকে বনরপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা হাসপাতালটি পরিদর্শন করেন। তবে তারা কোনও ব্যবস্থা না নিয়েই হাসপাতাল ছেড়ে চলে যায়।
অভিযানের সময় মায়ের জরায়ু কেটে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন নবজাতকের বাবা হাবিবুর রহমান। আমার বাচ্চা নবজাতকের লিঙ্গ এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে ফেলার কারণে অভিজ্ঞ ডাক্তারদের অভাবে মারা গিয়েছিল। আমি ন্যায়বিচার চাই
হাসপাতালের কর্তব্যরত একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স জেসমিন আক্তার কোন ডাক্তার সিজারিয়ান বিভাগটি সম্পাদন করেছেন সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বোনারপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই এনায়েত কবির জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বিষয়ে সব কিছু করবেন। পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা সহযোগিতা করব।
সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও হাসপাতালে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।