কিছুদিন ধরেই ফেসবুক,ইউটিউব সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তুলেছে কাকুলি ফার্নিচার এর একটি বিজ্ঞাপন।বিজ্ঞাপনটিতে দেখা যায় দুইটি ছোট দুইটি মেয়ে সোফায় বসে আছে আর বলছে’ দামে কম মানে ভালো কাকুলী ফার্নিচার’।সম্প্রতি নেট দুনিয়ার এটি ভাইরাল হয়েছে।অনেকেই বানিয়েছে টিকটিক ভিডিও।অনেক হাস্যরসাত্মক ভাবে উপস্থাপন ই বিজ্ঞাপনটি ভাইরাল এর মূল কারণ।
কাকলী ফার্নিচার নামক প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হলেন গাজীপুরের শ্রীপুরের
মাওনা চৌরাস্তার এস এম সোহেল রানা। ফার্নিচার বিক্রির বিজ্ঞাপন তিনি নিজের মোবাইল দিয়েই তৈরি করেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি এও বলেন,তার কাছে যথেষ্ট অর্থ না থাকার কারণে ভালো বিজ্ঞাপন তৈরি করতে পারেননি।তাই তিনি তার ক্রেতার অনুমতি নিয়ে তার দুই শিশুর একটি ছবি ও কণ্ঠ ধারণ করেন যা এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল।বিজ্ঞাপনটি এখন শুধু বাংলাদেশেই নয় দেশের বাইরেও এটি ভাইরাল হয়েছে।বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অভিনেত্রীরা মজাদার ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করছেন। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই প্রসঙ্গে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অনেকগুলো গণমাধ্যমে আমার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।তিনি বলেন,বিজ্ঞাপনটি তৈরির আগে দিনে প্রায় তিন লাখ টাকার ফার্নিচার বিক্রি হতো।কিন্তু গত ১০-১২ দিনে প্রতিদিন চার লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকার ফার্নিচার বিক্রি হয়েছে।তিনি বলেন,’২০ বছর অল্প কিছু পুঁজি নিয়ে যাত্রা করেছিল কাকুলি ফার্নিচার।গাজীপুর আর ময়মনসিংহ এ আমাদের তিনটি ফার্নিচার আছে।বিজ্ঞাপনটি ভাইরাল হওয়ার পর আমার পণ্যের চাহিদা বেড়েছে।তাই আমরা ভারতের কলকাতা এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার আমাদের প্রতিষ্ঠানের শাখা খুলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।এছাড়া অনলাইনে বিক্রির জন্যেও ব্যবস্থা নিচ্ছি।
কাকুলী ফার্নিচার এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আমান উল্লাহ বলেন,’বিজ্ঞাপনটি ভাইরাল হওয়ার পর প্রচুর ক্রেতা আসছেন।বিক্রি বেড়েছে অনেক।প্রতিটি শাখায় ক্রেতাদের ভির লেগেই থাকে।একটা বিজ্ঞাপন যে এতটা আলোচনার জন্ম দিতে পারে তা আমার কখনোই জানা ছিল না।এটি ভাইরাল হওয়ার পিছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ইউটিউবাররা।তিনি জানান বিজ্ঞাপনটি ভাইরাল হওয়ার পর বিক্রি বেড়েছে ৩০ শতাংশ।আগে যেখানে বিক্রি হতো দিনে ৩ লাখ টাকার এখন তা একদিনেই বিক্রি হচ্ছে চার থেকে সাড়ে চার লাখ টাকার।সে হিসেবে আমরা জুনের ১০-১৫ তারিখ পর্যন্ত আরো ভালো বিক্রি হওয়ার আশা করছি।’