পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, রাজধানীর দক্ষিণে ব্যবসায়ী আবদুর রশিদকে গুলি করে হত্যা করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম হান্নান ওরফে জাপানি হান্নান।
বুধবার বেলা সোয়া বারোটার দিকে চন্দননগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুর রশিদ (৪২) ওই এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে। আবদুর রশিদ তার বড় ভাই হারুনুর রশিদের সাথে রড ও সিমেন্টের ব্যবসা করতেন।
হারুনুর রশিদ যুগান্তরকে জানান, হান্নান আমার কাজিনকে মারধর করছে এই খবর পেয়ে তার ছোট ভাই আবদুর রশিদ তার বাড়ির সামনে গিয়েছিল। হান্নান নামে এক জাপানী লোক আমার ভাইয়ের মুখের বাম দিকে গুলি করে তার হাতে শটগান লাগিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে আমার ভাই মাটিতে পড়ে গেলেন।
পরে তাকে উদ্ধার করে দক্ষিণ কেসি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভুক্তভোগীর ছোট বোন জানান, জাপানি হান্নানের ভয়ে এলাকার সমস্ত লোকই কথা বলতে পারে না। সমস্ত সময় তিনি উগ্র মনোভাব নিয়ে এলাকায় ঘুরতেন।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালেও জাপানিরা হান্নানকে গ্রেপ্তার করেনি।
ভুক্তভোগীর পরিবার হত্যায় হান্নানকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ বিকেলে দক্ষিণ খান থানাধীন আশকোনায় আওয়ামী লীগ নেতা জাপানী হান্নান ও সোহেল রেজার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আবদুর রশিদ আওয়ামী লীগ নেতা জাপানী হান্নানের শটগান দিয়ে হত্যা করেছিলেন। খবর পেয়ে রশিদের সমর্থকরা জাপানে হান্নানের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
এ সময় উভয় পক্ষেই ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছিল। সংঘর্ষ ও গোলাগুলির কারণে এলাকায় পরিস্থিতি উত্তাল।
দক্ষিণ খান থানার ওসি শামীমুর রহমান যুগান্তরকে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদকে আওয়ামী লীগ নেতা জাপানি হান্নান গুলি করে হত্যা করেছে কিনা তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।