মূল্যবৃদ্ধির পর নতুন দামে শনিবার থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেল বাজারে ছাড়তে শুরু করেছেন মিলমালিকেরা। পাশাপাশি পুরোনো দামের বোতলও মিলছে বাজারে, তবে সেগুলোর গায়ে লেখা দাম কালি দিয়ে মুছে দেওয়া। ক্রেতারা বলছেন, দাম বাড়ার আশায় যে তেল গুদাম বা দোকানে মজুত করা হয়েছিল, মূল্যবৃদ্ধির পর সেগুলো এখন বাজারে ছাড়া হচ্ছে। কিন্তু গায়ে পুরোনো দাম লেখা থাকলেও বিক্রি হচ্ছে নতুন দামে।
গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর সয়াবিন ও পাম তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাতে বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয় ১৯৮ টাকা, যা আগে ছিল ১৬০ টাকা। আর ৫ লিটারের বোতলের দাম ঠিক করা হয় ৯৮৫ টাকা, যেটির আগের দাম ছিল ৭৬০ টাকা। এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ টাকা এবং খোলা পাম তেল প্রতি লিটার ১৭২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আগে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৩৬ টাকা ও পাম তেলের দাম ছিল ১৩০ টাকা। শুক্রবার থেকে এ দাম বাজারে কার্যকর হয়।
এদিকে শনিবার বিকেলে কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পুরোনো দামের বোতলজাত সয়াবিন তেল নতুন দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এ নিয়ে ক্রেতারা যাতে কোনো প্রশ্ন করতে না পারেন, সে জন্য গায়ে লেখা দাম মুছে দেওয়া হয়েছে। দোকানিরা জানান, দুপুরে তীর ব্র্যান্ডের একটি গাড়িভর্তি সয়াবিন তেলের বিভিন্ন পরিমাপের বোতল নিয়ে আসেন ডিলাররা। কারওয়ান বাজারের প্রতিটি দোকানে তাঁরা দুই লিটারের বোতলের এক কার্টন ও এক লিটারের বোতলের এক কার্টন করে তেল সরবরাহ করেছেন। তবে কয়েকটি দোকানে বেশি তেল দেওয়া হয়েছে।
কারওয়ান বাজারের পাঁচটি দোকান ঘুরে তিনটি দোকানের তেলের বোতলে গায়ের দাম দেখা সম্ভব হয়। এসব বোতলের গায়ে প্যাকিংয়ের তারিখ হিসেবে লেখা আছে চলতি বছরের ২০ এপ্রিল। মেয়াদ আছে আগামী বছরের ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত।