২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। দিন যত যাচ্ছে করোনার তান্ডব তত বেড়েই চলছে।
এরপর খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসের উপস্থিতি দেখা যাওয়ায় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। কিন্তু এতেও কাজ না হওয়ায় অবশেষে ওই বছর ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি ঘোষণা ডব্লিউএইচও।
করোনার টিকা আবিষ্কার হলেও এখনো কাটেনি শঙ্কা। এরই মধ্যে বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৮ লাখ ৬৬ হাজার এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ কোটি ৮৬ লাখেরও বেশি মানুষ।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৬৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ১৬ হাজার ৯২০ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত হয়েছেন ২ কোটি ৯৮ লাখ ২২ হাজার ৭৬৪ জন এবং এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ১৬৭ জনের।
আক্রান্তে তৃতীয় এবং মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনায় এক কোটি ৭৮ লাখ ২ হাজার ১৭৬ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬২১ জনের।
আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ লাখ ৫২ হাজার ৮৭২ জন। মারা গেছেন এক লাখ ১০ হাজার ৭০২ জন।
এ তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে তুরস্ক। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৫৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭২৮ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪৯ হাজার ৭১ জন।
বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঊর্ধ্বহার গত মঙ্গলবারের পর বুধবারেও লক্ষ্য করা গেছে। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়াসহ কয়েকটি দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।
তবে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও কম নয়। বিশ্বে এ পর্যন্ত ১৬ কোটি ২২ লাখ ৮৪ হাজার ৭২৬ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৪ লাখ ৫২ হাজার ২৯৪ জন।