শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া ছাড়া দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আপাতত খুলছে না। তবে দেশের সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি এবং অনলাইনে পরীক্ষা নিতে পারবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার বিষয়ে গত সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও উপাচার্যদের এক মতবিনিময়সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে শর্ত সাপেক্ষে সরাসরি ও অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক কাউন্সিলের পরামর্শক্রমে পরীক্ষা গ্রহণ ও মূল্যায়ন করতে হবে।
মতিবিনিময়সভায় একই সঙ্গে চারটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেগুলো হলো—প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোভিড-১৯ টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে। এই টিকা প্রদানের কর্মসূচি আবাসিক হলগুলোর শিক্ষার্থীদের দিয়ে শুরু হবে। সরাসরি উপস্থিতিতে পরীক্ষা গ্রহণ এবং সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া যাবে। শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান সম্পন্ন হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হবে এবং সরাসরি উপস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব সক্ষমতা ও বাস্তবতা অনুযায়ী একটি রিকভারি প্ল্যান প্রস্তুত করে তা বাস্তবায়ন করবে। তবে ইউজিসি থেকে এ ব্যাপারে একটি গাইডলাইন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠানো হবে।