অন্য দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এখন আর করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন হবে না। মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘অসাধারণ অগ্রগতি’ হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।
কাল রোববার থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। ৯০ দিনের মধ্যে বিধিটি পুনর্মূল্যায়ন করবে যুক্তরাষ্ট্রের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)। তবে প্রশাসন বলেছে, করোনার নতুন ধরনের কারণে প্রয়োজন হলে বিধিটি পুনর্বহাল করা হবে।
এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা যে অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেছি, তার বদৌলতে এ পদক্ষেপ নিতে পেরেছি আমরা। আমরা জীবন সুরক্ষাকারী টিকা এবং চিকিৎসাসেবা সহজলভ্য করতে পেরেছি। এর মধ্য দিয়ে গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যু (করোনাজনিত) ঠেকানো সম্ভব হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ধরনগুলোর (করোনার ধরন) বিরুদ্ধে এগুলো কার্যকর।’
২০২১ সালের জানুয়ারিতে বিমান ভ্রমণকারীদের জন্য নতুন বিধি চালু করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। বলা হয়েছিল, ফ্লাইট শুরুর তিন দিন আগে করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ দেখাতে হবে যাত্রীকে। কিংবা সম্প্রতি করোনা থেকে সেরে ওঠার প্রমাণ দেখাতে হবে তাদের।
গত ডিসেম্বরে করোনার অমিক্রন ধরনের প্রকোপ বাড়তে থাকায় এ বিধি আরও কঠোর করার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বলা হয়, ফ্লাইটের এক দিন আগে করোনা নেগেটিভের প্রমাণ দেখাতে হবে। তবে এ বিধি শুধু বিমান ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। স্থলপথে সীমান্ত পারাপারের ক্ষেত্রে এ বাধ্যবাধকতা ছিল না।
যারা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নন, তাদের বেশির ভাগকে এখনো দেশটি ভ্রমণের ক্ষেত্রে টিকা নিতে হবে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখজনক হারে কমতে দেখা গেছে। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এ সংখ্যা আবারও বাড়তে শুরু করে। তবে টিকা কর্মসূচির কারণে মহামারির চূড়ান্ত সময়ের তুলনায় এখন মৃতের সংখ্যা অনেক কম।
মার্কিন পর্যটন প্রতিষ্ঠানগুলো এ বিধি বাতিলের অনুরোধ জানিয়ে আসছিল। কারণ, এ বিধির কারণে বুকিংয়ের ওপর প্রভাব পড়েছিল। বিদেশ ভ্রমণে গিয়ে আটকে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় অনেকে দেশের বাইরে যেতে অনাগ্রহী হয়ে পড়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ধীরে ধীরে জাতীয় পর্যায়ে করোনা বিধিগুলো শিথিল করছিল। গত বছরের নভেম্বরে ৩০টির বেশি দেশ থেকে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আরোপিত বিধি প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এপ্রিলে বিমানে মাস্ক পরে রাখার নিয়ম বাতিল করা হয়েছিল।
শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, গত মার্চে কোভিড-১৯ জনিত সব ভ্রমণ বিধি প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল শুক্রবার কানাডা বলেছে, জুনের বাকি সময় বিমানবন্দরে র্যান্ডম কোভিড টেস্ট বিধি স্থগিত করবে তারা। এতে ভ্রমণকারীদের সময় বাঁচবে।