ইচ্ছেগুলো আজ আর উড়তে চায় না
রঙ্গিন ডানা মেলে,
বিভৎস অন্ধকার কারাগারে
নিজেকে বেশ মানিয়ে নিয়েছে।
কালিশূন্য কলমটি আর রক্তশূন্য ডায়েরীর পাতায় আঁচড় কাটে না,
নিঃস্ব হয়ে পড়ে থাকে
পরিত্যক্ত কোনো বর্জ্য ফেলার ঝুড়িতে।
তরতাজা গোলাপের পাপড়িগুলো
বিবর্ণ হতে হতে কাল
দক্ষিণা বাতাসে ঝরে পড়েছে।
ফুলবিহীন গাছটির দিকে আর
কারো দৃষ্টি যায় না।
পলকহীন মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকে না
কোনো পথিক।
ফুল ছাড়া গোলাপ গাছটি এখন
সন্তানহীনা নারীর মতো মূল্যহীন,
ডিভোর্সী নারীর মতো উপেক্ষিত আর
বিধবা নারীর মতো অবহেলিত।
ঐদিকে সদ্যফোটা শিউলী ফুলগুলো
মাটিতে ঝরে পড়েও নজর কাড়ছে
নবযৌবনা কোনো চঞ্চল কিশোরীর মতো।
খানিকবাদে তার অহংকারও
চাপা পড়ে যাবে মৃত্তিকার আড়ালে।
বারান্দায় ঝুলে থাকা ঐ অপরাজিতার
অঙ্গে জড়ানো নীল শাড়িটা
খানিক মলিন হয়েছে।
ভ্রমরগুলো তাকে দেখে আর আকৃষ্ট হয় না।
তাকে এড়িয়ে ভ্রমর উড়ে গিয়ে বসে
তারই পাশে মাত্র ফোটা
কোনো ফুলের পরাগে।
শখের বশে কেনা বিলাসবহুল সেই
দর্পণটাতেও বেশ কিছু ফাটল ধরেছে,
এখানে-ওখানে খসে পড়েছে কিছু পারদ।
অক্ষম দর্পণটি এখন আর
নিঁখুত প্রতিবিম্ব দাঁড় করাতে পারেনা।
তাই তার স্থান হয়েছে
সদ্য কেনা এক বিশাল দর্পণের ঠিক পিছনে।
কলমে:মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া