বিচারকের পরিচয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে নগরীর কোতোয়ালি থানার ফিরিঙ্গিবাজারের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত অভিজিৎ ঘোষ (২২) বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব গোমদনদী এলাকার আশীষ কুমার ঘোষের ছেলে।
নগর পুলিশের কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) নোবেল চাকমা জানিয়েছেন, ধর্ষণে সহায়তা করা তার বন্ধু সত্যজিৎ দাস শুভ (২৮) কে পুলিশ গ্রেপ্তার খুঁজছিল।
এসি নোবেল রংপুর ডেইলীকে বলেন, “ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থী। অভিজিতের সাথে তার ফেসবুকের পরিচয়। অভিজিৎ জানিয়েছেন যে তিনি প্রথমে বিসিএস ক্যাডার পুলিশ অফিসার এবং পরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাঁর বাবা প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব এবং তার মা একজন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা ।এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ‘
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, “কয়েক মাস আগে অভিজিৎ মেয়েটিকে তার বন্ধু রায়ের সহায়তায় ফিরিঙ্গীবাজারের খালার বাড়িতে নিয়ে যায়।” আস্থা তৈরি করতে তিনি ৫০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর জাল করে বিবাহের হলফনামা জাল করেছেন। পরে ২১ শে মার্চ, রায়ের সহায়তায় অভিজিৎ মেয়েটিকে আবার একই বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
ওসি আরও বলেছিলেন, ‘২১ শে মার্চ অভিজিটের আচরণ নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় মেয়েটি তার বাবা-মার কাছে পুরো বিষয়টি প্রকাশ করেছিল। তারপরে মেয়েটির অভিভাবক অভিজিৎকে ফোন করে তাদের বাড়িতে যেতে বললেন। অভিজিৎ ও সত্যজিৎ বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয়। অভিজিৎ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আড়ালে মামলা করার হুমকিও দিয়েছিলেন।
ওসি নেজাম জানান, মেয়েটি কোতোয়ালি থানায় গিয়ে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পরে পুলিশ অভিজিৎকে গ্রেপ্তার করেছে।