ভাসানী পরিষদ শনিবার দুপুর বারোটার দিকে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের প্রতিবাদে পাঁচ জন হত্যার প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল।
কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। বেশ কয়েকজনকে সন্দেহভাজন হিসাবে নেওয়া হয়েছে।
বেলা দেড়টার দিকে জনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ শেষে অংশগ্রহণকারীরা প্রেসক্লাবে প্রবেশের চেষ্টা করেন। পুলিশ বেশ কয়েকজন প্রতিবাদকারীকে ধরে নিয়ে যায়।
রমনা বিভাগের পুলিশ কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে এমন কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য রাজনৈতিক নেতাদের অনুরোধ করা হয়েছিল।
কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি, তিনি আরও বলেন, সমাবেশ থেকে পূর্বের মামলায় সন্দেহভাজন হিসাবে দু’জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। অভিযুক্ত না হলে যাচাই-বাছাই শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সমাবেশের মাঝামাঝি সময়ে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের সময় উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।
সমাবেশ শেষে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও দক্ষিণের সাবেক ভিপি নুরুল হক প্রেসক্লাবে প্রবেশ করেন। এসময় তাদের সাথে থাকা কমপক্ষে 10 জনকে পুলিশ টেনে নিয়ে যায়।
বিক্ষোভ সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।