নিজস্ব প্রতিবেদকঃ হেলিপ্যাডটির অবস্থান আদিতমারী উপজেলা ক্যাম্পাসের মাত্র ৫০০ গজ দূরেই। হেলিপ্যাডটি নির্মিত হয় এরশাদ সরকারের আমলে উপজেলা গঠনের প্রথম দিকে। স্থানীয়রা জানান সে আমলেই দু’একবার এখানে হেলিকপ্টার নেমেছিল বলে। এরপর আর কেউ হেলিকপ্টার নামতে দেখেননি।
এখন বাস্তহারাদের দখলে হেলিপ্যাডটি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার। সেখানে এখন আর বাড়িঘর ফার্নিচার তৈরির দোকান, ইট-বালু ট্রাক্টর স্ট্যান্ড লাকড়ির গোলা।
কথা হয় সেখানে দখলদারদের সঙ্গে। আলম মিয়া নামে একজন জানালেন, ওখানে যাদের অন্য কোথাও থাকার জায়গা নেই, তারাই বাড়িঘর করে আছেন ।কেউ কোনোদিন কিছু বলেনি, যোগাযোগও করেনি তাদের সঙ্গে।
”কেউ তাদের খোঁজ নেয়ন “ এখানকার রশিদুল হক জানান,। তাদের নাম নেই সরকারের দেওয়া কোনো ঘরবাড়ির তালিকায়। সেখানে ১২টি পরিবার বাড়ি করে আছে দোকানপাট ছাড়াও ।
রাশিদুলের স্ত্রী বললেন, ‘যার কিছু নাই তাক দ্যায় না, যার কিছু আছে তাকে দ্যায়’।
লালমনিরহাট জেলার সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় বাসিন্দা বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র ফোরামের বলেন, ‘যারা বাস্তহারা আছেন, তারাই জীবিকার প্রয়োজনে হেলিপ্যাডে জীবনযাপন করতেছেন। অবৈধভাবে রয়েছেন তাদের নিজস্ব জায়গা না থাকায় । তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং তাদের প্রতি সু-নজর দেওয়া সরকারে উচিত। প্রয়োজনে তাদের জমি ও ঘরের ব্যবস্থা করতে হবে।’
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের জন্য হ্যালিপ্যাড।আমার দপ্তর এগুলো করেনি। ঘর পাওয়ার অধিকার রাখে ওদের যদি জমি না থাকে। ঘরবাড়ি বরাদ্দের কাজ ভূমি অফিস আর ইউএনও অফিস করেছে।’
আদিতমারীর ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন জানান হেলিপ্যাড দখলের বিষয়ে , তিনি ব্যবস্থা নেবেন, লিখিত অভিযোগ পেলে ।