:এই ছেলেটা, একটু শুনবে?
-শোনার জন্যই তো অধির আগ্রহে আমি অপেক্ষিত। বলো না কী বলবে।
:আমায় কেন এত ভালোবাসো, সবটা কি বলবে?
-উমমমমম! আমায় যে একটু ভাবতে হবে। খানিকটা সময় দেবে?
:না, না, না। কোনো ভাবনা-চিন্তা ছাড়াই তোমায় বলতে হবে। আমি কিচ্ছু জানিনে।
-এই রে, পড়লাম তো মুশকিলে!
:হিহিহিহি। আচ্ছা থাকুক তবে সেই কথা। তাহলে এবার বলো তো, আমি না থাকলে তুমি কী করবে?
-আমিও থাকবো না। তোমার পিছু পিছু চলে যাবো তোমার কাছে।
:নিয়ম ভাঙ্গতে চাও?
-শুধু তোমার জন্যে।
:সাড়ে তিন হাত মাটির নীচে কেউ যে কারো সঙ্গী হয় না।
-[নিশ্চুপ]
:নির্বাক চেয়ে আছো যে? এভাবে কী দেখছো, বলো তো?
-তোমাকে দেখি। যতবার দেখি ততবারই নতুন লাগে। মনে হয় কত যুগ ধরে তোমায় দেখিনি।
:হয়েছে, হয়েছে। এবার আমার কথার জবার দাও দেখি।
-তুমি আমায় একলা রেখে যাবে? এতটা স্বার্থপর তো কখনই তুমি ছিলে না।
:তোমায় ছেড়ে যেতে চাই না। কিন্তু সবাইকে তো একদিন যেতেই হবে। আগে অথবা পরে, যেতে কিন্তু হবেই। আর আমি তোমার আগেই যেতে চাই।
-কেন বলো তো?
:কারণ এই চোখ দু’টি তোমার আত্মাহীন দেহ সহ্য করতে পারবে না। মনকে অস্থির করে তুলবে। আর মন আমাকে ঠিক থাকতে দিবে না। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলবো নিজের প্রতি। যার ফল খুব একটা ভাল হবে না।
-তুমি নিজের কথাই ভাবলে? আমার দিকটা একটু ভেবে দেখলে না?
:সেটাও ভেবে দেখেছি। তুমি তো শক্ত মনের অধিকারী। কিছুদিন কেঁদে কেটে ঠিক সামলে নিতে পারবে। বছর না ঘুরতেই, মায়ের কথায় আবারও বিয়ে করে ফেলবে। এটাই বাস্তবতা।
-খুব বাস্তববাদী হয়েছো, না?
:তা না হয়ে উপায় আছে? কিন্তু আমি না থাকলেও তুমি আর বিয়ে করো না, প্লিজ। আমার জায়গা কেউ দখল করে নিবে সেটা আমি সইতে পারবো না।
-আচ্ছা করবো না, পাগলি একটা। এবার ঘুমিয়ে পড়ো তো।
ওপাশে আর কোনো কথা নেই। ঘুমিয়ে রাজ্যে তলিয়ে গেছে প্রিয়ন্তি। একটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে প্রিয়মও ঘুমিয়ে পড়ে। তাদের পাহারা দিয়ে জেগে থাকে একটি সুদীর্ঘ রজনী।
লেখা: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া।