হাফনিয়াম নামের একটি হ্যাকার গ্রুপ বাংলাদেশ ব্যাংকসহ দেশের দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা চালিয়েছে। এই গ্রুপ হ্যাকার সংস্থা থেকে তথ্য নিয়েছে। নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেমটি পর্যবেক্ষণ করার সময় এই আক্রমণটি সনাক্ত করা হয়েছিল। চীনা গ্রুপটি মূলত মাইক্রোসফ্ট সার্ভারের মাধ্যমে আক্রমণ করেছিল।
হামলার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কম্পিউটার অ্যাকসিডেন্ট রেসপন্স টিম (এসইআরটি) ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে চিঠি দিয়েছে। সার্টের প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ গত বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ প্রসঙ্গে প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশে এ জাতীয় ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বাংলাদেশ ব্যাংকে সাইবার আক্রমণ হয়েছে। এই আক্রমণগুলি অন্যান্য সংস্থাগুলিতেও হয়েছে। এ জন্য প্রযুক্তিবিদরা বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বেসরকারী বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলিকে সাইবার আক্রমণ সম্পর্কে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলে যে ফলস্বরূপ হ্যাকাররা কেবল দেশের তথ্যই নেয় না, তারা ব্যক্তিগত তথ্যও নেয়।
সার্ট বলছে হ্যাকার গ্রুপ ব্রাজিল সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আক্রমণ করেছে। বাংলাদেশের 200 শতাধিক প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ করেছে। এই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সরকারী, বেসরকারী ব্যাংক, আর্থিক ও পরিষেবা সহ বিভিন্ন ধরণের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই হামলার ফলে সংস্থাগুলির তথ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তারেক এম বরকতউল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা তথ্য পর্যালোচনা করে দেখেছি যে দেশের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমগুলি, বিশেষত মাইক্রোসফ্ট এক্সচেঞ্জ সার্ভার ব্যবহারকারী সংস্থা হাফনিয়াম হ্যাকারদের দ্বারা আক্রমণ করা হয়েছে।”
তিনি আরও যোগ করেন যে এই হ্যাকাররা সাধারণত ই-মেইলে তথ্য চুরি সম্পর্কিত কার্যক্রম চালাতে পারে। বাংলাদেশে এই ধরনের হ্যাকিং বন্ধে পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা কালের কণ্ঠকে বলেন, “আমাদের সকলকে এই বিষয়গুলি, বিশেষত রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলি সম্পর্কে সচেতন হওয়া দরকার।” আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে উদাসীন। ‘তিনি আরও বলেছিলেন,’ বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি বেসরকারী ব্যাংক রয়েছে যারা সাইবার সুরক্ষায় বিনিয়োগ করতে চান না। ফলস্বরূপ, তারা সাইবার হামলার শিকার।