বলুন তো, মৌচাকের আকৃতি বিশিষ্ট আর কোন জিনিস দুনিয়াতে বিদ্যমান?
ভাবুন! ভাবুন!
কীইই? পেলেন না তো?
ঠিক আছে। তবে আমিই বলে দিচ্ছি।
সেই জিনিসটি হলো “শিলা”।
হুম। আপনি ঠিকই দেখেছেন। শিলাই মৌচাকের আকৃতি বিশিষ্ট হয়।
শিলা কীভাবে মৌচাকের আকৃতি বিশিষ্ট হয়?
আমরা অনেকেই জানি শিলা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। তবে অনেকেই হয়তো জানি না, পানির মত বায়ুর দ্বারাও শিলাখন্ড ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। শিলা সাধারণ তিনটি উপায় ক্ষয়কার্য সাধন করে থাকে। যেমন- ক্ষয়কার্য, অপসারণ এবং প্রস্তরখন্ডের পরস্পর ঘর্ষণের মাধ্যমে।
বায়ু ক্ষয়কার্য সাধন করে বিভিন্ন রকম ভুমীরুক গঠব করে। মরু অঞ্চলে বায়ু প্রবাহের গতি খুব বেশি থাকে। যান্ত্রিক আবহবিকার মরু অঞ্চলের শিলাখন্ডগুলিকে আগে ভাগেই আলগা এবং বিচ্ছিন্ন করে রাখে। সেগুলো প্রবল বাতাসের আঘাতে আঘাতে ভেঙ্গে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যায়। কখনো কখনো এত ক্ষুদ্র হয়ে পরে যে বালির আকৃতি ঊারণ করে।
প্রবল বেগে প্রবাহিত হওয়া বালির টুকরো এবং কঠিন কোয়ার্টেজ শিলার ছোট- বড় কুঁচিও প্রবাহিত হতে দেখা যায়। এদের ক্রমাগত ঘর্ষণের ফলে শিলাস্তর ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। তবে বায়ু এগুলোকে ভূপৃষ্ঠ থেকে বেশি ওপরে নিয়ে যেতে পারে না। ফলে বায়ুর সঙ্গে শক্ত কোয়ার্টেজ পাথরের কুঁচি ভুমি থেকে এক মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শিলাস্তরকে ক্ষয় করে। এদের ঘর্ষণে শিলাখন্ড মৌচাকের মত অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্রের সৃষ্টি করে। কিছুদিনের মধ্যেই শিলাখন্ডটি মৌচাকের আকৃতি বিশিষ্ট হয়ে ওঠে।
তথ্য সংগ্রহেঃ মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া।
