বয়স বাড়ার সাথে সাথে শারীরিক পরিবর্তন আসে। বয়সের ছাপ প্রথম পড়ে আমাদের মুখমণ্ডলের ত্বকে। তারপর পুরো শরীরের ত্বকে। মুখে বলিরেখার অস্তিত্ব, চুলে পাক ধরা অনেকেরই মন খারাপের কারণ হতে পারে।
আমাদের চারপাশে তাকালে দেখা যায়, বয়সের তুলনায় বয়স্ক লাগে। আবার কাউকে বয়সের তুলনায় দেখতে কম বয়স মনে হয়। যাদের দেখে বয়স নির্ধারণ করা যায় না, তারা আসলে স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন। তারা নিয়মিতভাবে কিছু নিয়ম মেনে চলে।
বয়স থামিয়ে রাখতে উপায় জেনে নিন-
১. খাদ্যাভ্যাস: ত্বকের প্রয়োজনীয় সকল নিউট্রিয়েন্টস আমরা খাবার থেকেই পাই। প্রতিদিনের ডায়েটে তাই এন্টিঅক্সিডেন্টস সমৃদ্ধ সবুজ শাকসবজি, ফলমূল রাখতে হবে।
২. প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান: পানি পানের ক্ষেত্রে অবহেলা করলে আপনার সুস্থ ও সুন্দর থাকা সম্ভব নয়। সুস্থতার জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা ভীষণ জরুরি। শারীরিক যেকোনো সমস্যা দূরে রাখতে অনেকটা সাহায্য করে বিশুদ্ধ পানি। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করলে তা শরীরে পানির ঘাটতি মেটানোর পাশাপাশি শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত উপাদান বা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। শরীর আর্দ্র থাকলে সুস্থ থাকা সহজ হয়। ত্বক আর্দ্র থাকলে টানটান ভাব বজায় থাকে। এই টানটান ভাব কমলেই দেখা দেয় বলিরেখা। তাই বয়স ধরে রাখতে চাইলে নিয়মিত পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন ন্যূনতম ২ লিটার পানি পান করুন।
৩. নিয়মিত শরীরচর্চা: নিয়মিত শরীরচর্চা করলে তা শরীরকে ভেতর থেকে ভালো রাখে। শরীরে কোনো রকম মেদ জমতে দেবেন না। কারণ মেদ আরও অসুখের কারণ হতে পারে। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে শরীরে রক্ত চলাচল বাড়ে, শরীরের সব কোষে অক্সিজেন পৌঁছায় ঠিকভাবে। ফলে ত্বক উজ্জ্বল হয়।
৪. পরিচ্ছন্নতা: ত্বকের বিভিন্ন স্তরে ময়লা ও পলিউশনের আস্তরণ পড়ে। নিয়মিত এক্সফলিয়েশন ও ক্লিনজিং ত্বকের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে।
৫. নির্বিঘ্ন ঘুম: শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন নির্বিঘ্ন ঘুম প্রয়োজন। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন অন্তত সাত-আট ঘণ্টা ঘুম দরকারি। ঘুমের অন্তত ঘণ্টা দুই আগে স্মার্টফোন দূরে রাখুন। কম্পিউটার কিংবা স্মার্টফোনের নীলচে আলো আমাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এটি ত্বকে দ্রুত বয়সের ছাপ ফেলতে পারে। অনেকে বালিশের উপর মুখ উপুড় করে ঘুমান। এতেও দেখা দিতে পারে বলিরেখা। এই ভঙ্গিতে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন।