বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ রায় দেন।
সাজার আদেশ পাওয়া শিক্ষার্থীর নাম শামসুল আলম। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। রায় ঘোষণার পর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন।
এ বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সালে ৫ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আপত্তিকর ও মানহানিকর মন্তব্য করেন শামসুল আলম। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করে। ওই মামলায় শামসুল আলমকে সাজা দিয়েছেন আদালত।
আসামিপক্ষের আইনজীবী জায়েদুর রহমান বলেন, শামসুল আলম এই রায় চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন। মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০১৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি জামিন পান। এরপর থেকে শামসুল নিয়মিত আদালতে হাজিরা দেন।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮তম ব্যাচের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আল আমিন একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় কলাম লেখেন। ওই লেখাটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক মোরশেদুর রহমান (৩৮তম ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী) ফেসবুকে শেয়ার করেন। আসামি শামসুল আলম ওই লেখার নিচে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন।
পরে মামলাটি তদন্ত করে শামসুল আলমের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক দীপক চন্দ্র সাহা। আদালত পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই শামসুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।