বগুড়ায় রাস্তা থেকে তুলে বাড়ির ছাদে নিয়ে এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। রোববার (১৩ জুন) জেলার ধুনট উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১৫ জুন) দুপুরে শেরপুর থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন ওই কিশোরীর বাবা ওসমান আলী।
গ্রেফতারকৃতরা হলো জেলার ধুনট থানার এলাঙ্গী পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত বেলায়েত প্রামাণিকের ছেলে তারিকুল ইসলাম তারেক (২৫) ও নলডাঙ্গা পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাবুল মন্ডলের ছেলে ওয়াসিম মন্ডল (২৫)। পলাতক রয়েছে আরেক আসামি রানা মিয়া (২৫)। সে ধুনট হাসপাতাল পুরাতন পল্লী বিদ্যুৎ অফিস এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে।
শেরপুর থানায় দায়ের হওয়া মামলা সূত্রে জানা যায়, তরিকুল ইসলাম তারেকের সঙ্গে এক মাস আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওই কিশোরীর পরিচয় হয়। ১৩ জুন তারেক তার সঙ্গে দেখা করার কথা বলে কিশোরীকে। পরে কিশোরী তার নিজের বাড়ির পাশে দেখা করতে এলে তারেক ও ওয়াসিম সিএনজিচালিত অটোরিকশায় জোর করে তুলে নিয়ে যায় তাকে।
পরে হাসপাতাল রোডে পুরাতন বিদ্যুৎ অফিসে রানা মিয়াদের বাড়ির ছাদে নিয়ে তারিকুল ধর্ষণ করে কিশোরীকে। ধর্ষণের পর মোটরসাইকেলযোগে শালফা ব্রিজের কাছে নামিয়ে দেওয়া হয় তাকে। পরে কিশোরী বাসায় এসে বিষয়টি বাবা-মাকে জানায়।
এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তন্ময় কুমার ধুনট উপজেলায় অভিযান চালিয়ে আসামি তারেক ও ওয়াসিমকে গ্রেফতার করেন। তিনি জানান, ধর্ষণের অভিযোগে মঙ্গলবার দুপুরে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা ২ জনকে গ্রেফতার করেছি। পলাতক রানা মিয়াকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।