সারফেকটেন্ট এমন একটি পদার্থ যা সার্ফেস টেনশন বা পৃষ্ঠটান কমায়।রাসায়নিকভাবে এতে থাকে ফসফোলিপিড,প্রোটিন এবং আয়ন।
ফুসফুসের টাইপ-টু এলভিওলার এপিথেলিয়াল সেল থেকে সারফেকটেন্ট উৎপন্ন হয়।ভ্রূণীয় অবস্থায় থাকাকালীন ২৮ তম সপ্তাহে এটির ক্ষরণ শুরু হয়।
সারফেকটেন্ট থাকার কারণে ফুসফুস চুপসে যায়না।কারণ এটি পৃষ্টটান কমিয়ে দেয়।
সদ্যজাত শিশুর ক্ষেত্রে ফুসফুসকে প্রসারিত হতে সাহায্য করে।
প্রশ্বাসের সময় ফুসফুসের প্রসারণে সাহায্য করে সারফেকটেন্ট।
ফুসফুসের এলভিওলাসের সাইজ ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
সারফেকটেন্ট উপস্থিত থাকার ফলে সহজে পালমোনারি ইডিমা হয়না।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খুব সাধারণ একটি রোগ হলো Respiratory Distress Syndrome. সারফেকটেন্ট যখন কমে যায় বা অনুপস্থিত থাকে তখন বাচ্চাদের এই রোগটি হয়।তাই বলা যায়,সারফেকটেন্ট থাকার ফলে শিশুরা এই রোগ থেকে রক্ষা পায়।
সারফেকটেন্ট না থাকলে আমাদের ফুসফুস চুপসে যেত।ফলে আমাদের শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দিত।ফুসফুসে প্রয়োজনীয় বাতাস থাকতে পারতো না।এটি আমাদের মৃত্যুর কারণ হতো।তাই সারফেকটেন্ট আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পদার্থ।
©দীপা সিকদার জ্যোতি