▫️প্রতিদিনই আমাদের সুযোগ আসে ইমানের লেভেল যাচাই করার। সুযোগ আসে অন্তরের গাফিলতির পরিমাণ মাপার! কিন্তু কিভাবে?? উত্তরটা হচ্ছে নামাজ।
নামাজে আপনার অন্তরের খুশু খুযু অবলম্বন করার যোগ্যতাই আপনাকে বলে দেবে আপনার ইমানের হালত। কারণ, বর্ণিত আছে , যে নামাজ বান্দাকে অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখেনা সে নামাজ তাকে কেবল আল্লাহ থেকে দূরেই নিয়ে যাবে। অর্থাৎ, খুশু খুযুর সালাতই কেবল আপনাকে নামাজের ফযিলত পূর্ণাঙ্গভাবে ভোগ করার সুযোগ করে দিবে। অন্যথায় আমরা নামাজ পড়ব ঠিকই কিন্তু তার প্রভাব আমাদের জীবনে দেখবনা। আল্লাহ কেবল নামাজের সেই অংশই কবুল করবেন যে অংশে বান্দার অন্তর উপস্থিত থাকবে।
▫️তাই যাদের অন্তর নামাজে দিক বেদিক ঘুরে বেড়ায় তাদের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত নিজের ইমানকে নবায়ন করার। অন্তরকে সুস্থিত, বিনয়ী করার।
সালাফগণের কিছু ঘটনা দেখলেই বুঝা যায় তাদের অন্তর নামাজের প্রতি কতটা ব্যাকুল ছিল।
▫️হযরত ইমাম যয়নুল আবেদীন (রহঃ) যখন ওযু করতেন, তখন তাঁর মুখমণ্ডল ফেকাশে হয়ে যেত। তাঁর পত্নী জিজ্ঞেস করলেন : ওযু করার সময় আপনার একি অভ্যাস ? তিনি বললেন : তুমি জান না, আমি কার সামনে দাঁড়াতে যাই।
▫️হাতেম আসাম্মকে কেউ তাঁর নামাযের অবস্থা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন : নামাযের সময় হয়ে গেলে আমি পূর্ণরূপে ওযু করে নামাযের জায়গায় এসে বসি। আমার সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্থির হয়ে গেলে আমি নামাযের জন্যে দাঁড়াই। কা’বা গৃহকে সম্মুখে রাখি, পুলসেরাতকে পদতলে, জান্নাতকে ডান দিকে, জাহান্নামকে বাম দিকে এবং মালাকুল মওতকে পিঠের পশ্চাতে কল্পনা করি। এর পর এ নামাযকেই সর্বশেষ নামায বলে মনে করি। অতঃপর ভয় ও আশা সহকারে দাঁড়িয়ে সশব্দে আল্লাহু আকবার বলি। উত্তমরূপে কেরাআত পড়ি। রুকু বিনয় সহকারে এবং সেজদা খুশু সহকারে আদায় করি।
©