রাশিয়া প্রতিবেশী ইউক্রেনে আক্রমণ চালাতে পারে এমন আশঙ্কার মধ্যে পূর্ব ইউরোপে ন্যাটো মিত্রদের শক্তিশালী করতে প্রথম দফায় আমেরিকান সৈন্য পোল্যান্ডে পৌঁছেছে। শনিবার খবরটি নিশ্চিত করে পোল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, যেমনটি ঘোষণা করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর ৮২তম এয়ারবর্ন ডিভিশন থেকে ব্রিগেড যুদ্ধ গ্রুপের প্রথম সৈন্যরা পোল্যান্ডে পৌঁছেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত বুধবার ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডের রেজেসো সামরিক ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের মোতায়েনের নির্দেশ দেয়। এরপর সেখানে ১৭শ’ সেনা পৌঁছে। ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৪ হাজার সৈন্য পোল্যান্ডে অবস্থান করছে।
বাইডেন রোমানিয়া ও জার্মানিতে সৈন্য পাঠানোরও নির্দেশ দিয়েছেন। তাতে মোট অতিরিক্ত সৈন্য সংখ্যা প্রায় ৩ হাজারে উন্নীত হলো।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সূত্র এর আগে বলেছে, প্রাথমিকভাবে ৮২তম এয়ারবর্ন ডিভিশনের প্রায় ১৭শ’ সেনা সদস্যকে পরবর্তী দিনগুলোতে ফোর্ট ব্র্যাগ, নর্থ ক্যারোলিনা থেকে পোল্যান্ডে মোতায়েন করা হবে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের প্রথম দল শুক্রবার জার্মানিতে পৌঁছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ইউরোপীয় কমান্ড বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ১৮তম এয়ারবর্ন কোরের সৈন্যরা শুক্রবার জার্মানির উয়াইসবাডেনে পৌঁছেছে। আরও বলা হয়, ১৭শ’ প্যারাট্রুপারকে পোল্যান্ডে মোতায়েন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের সহযোগিতা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র জার্মানিতে একটি সদর দপ্তর স্থাপন করবে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনবোধে ইউরোপে আরও সাড়ে ৮ হাজার সেনা মোতায়েন করার লক্ষ্যে জানুয়ারি থেকে তাদের উচ্চ সতর্কতামূলক অবস্থায় প্রস্তুত রেখেছে। তারা এখনো উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে। ন্যাটোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা ১৬ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারিতে তাদের পরবর্তী বৈঠকে আরও সৈন্য মোতায়েন করার বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ইউক্রেন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সীমান্তে এক লাখ সেনা মোতায়েন করলেও রাশিয়া দাবি করছে, তাদের যুদ্ধে টানার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে মার্কিন গোয়েন্দারা জানায়, ‘মিথ্যা অজুহাতে’ ইউক্রেনের ওপর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে মস্কো।