খাদ্য হিসেবে মাশরুম অতুলনীয়। প্রাচীনকাল থেকেই এটি পুষ্টি সমৃদ্ধ, সুস্বাদু ও দামী খাবার হিসেবে বিবেচিত। এটি একটি পুষ্টিকর সবজিও। তবে বাংলাদেশে সবচেয়ে যেই প্রজাতির মাশরুম চাষ সবচেয়ে বেশি হয় তা হলো ওয়েস্টার মাশরুম। এটি সারা বছরেই চাষ করা যায়। অগণিত গুণে ভরপুর ওয়েস্টার মাশরুম খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টি ও ঔষধি গুন সম্পন্ন।
গুনাগুন সমূহ –
- বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস ও ওজন বেশি তাদের জন্য এই মাশরুম খুবই উপকারি।
- ওয়েস্টার মাশরুমে আরগোথিওনিন নামক অ্যামাইনো আসিড আছে যা গুরুত্বপূর্ন এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং রান্নার পরও অক্ষুণ্ণ থাকে।
- ওয়েস্টার মাশরুমে বেঞ্জালডিহাইড নামক উপাদান থাকায় এই মাশরুম এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।
- এই মাশরুমে শুকনা ওজনের প্রায় ৩০% প্রোটিন আছে।
- এতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান যথাঃ জিংক, আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যমান।
- এই মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, নায়াসিন, ফলিক এসিড, ভিটামিন-বি২ ও ভিটামিন-বি৩ বর্তমান।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য আঁশ থাকায় তা স্বাস্থের জন্য উপকারী।
- এতে ক্ষতিকারক চর্বি ও কার্বোহাইড্রেট খুব কম পরিমাণে বিদ্যমান।
- এই মাশরুম উচ্চ রক্ত চাপ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে ও মেদ ভুরি কমায়।
- এতে স্টাটিন নামক উপাদান থাকায় রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ও উচ্চ কোলেস্টেরল যুক্ত খাবারের সাথে এই মাশরুম যোগ করলে এর ক্ষতির হাত থেকে বাচা যায়।
- ক্যান্সার নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে এই মাশরুম।
- হেপাটাইটিস-সি এর বিরুদ্ধে এই মাশরুম কাজ করে।
- রক্তস্বল্পতা, হাইপার এসিডিটি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে সক্ষম এই মাশরুম।
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ২৫ প্রজাতির ওয়েস্টার মাশরুম চাষ করা হচ্ছে। পুষ্টি ও ঔষধিগুণে ভরপুর সুস্বাদু এই মাশরুমের চাষ, আবাদ ও ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।