শুক্রবার ঢাকার ওপর দিয়ে ৮৩ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে। এটি গত পাঁচ বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় বলে অভিহিত করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গত ১০০ বছরে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েছে ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাংলাদেশে গত ২০ বছরেই মার্চ-মে এই তিন মাসে গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থা চলতে থাকলে ২০৭০ সালের মধ্যে এ সময় বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা বাড়বে ২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে করে বাড়বে কালবৈশাখীর প্রকোপ, বাড়বে বজ্রপাত। সম্পদহানির পাশাপাশি মানুষের মৃত্যু বাড়ারও আভাস রয়েছে।বাংলাদেশের ওপর বিশ্বব্যাংকের গবেষণা ও আবহাওয়া অধিদপ্তর আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদের গবেষণা থেকে জানা গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকাসহ সারা দেশে কালবৈশাখীর মাত্রা বাড়বে এবং তা কখনো কখনো সাইক্লোনের মাত্রায় পৌঁছবে। তারা বলছেন, পৃথিবী যে হারে উত্তপ্ত হচ্ছে তার থেকে বেশি হারে হচ্ছে বাংলাদেশ। এর ফলে গ্রীষ্মকালে উত্তাপ বাড়ছে। তাই এ স্বল্প সময়ে অধিক বৃষ্টিপাত হচ্ছে, বাকি সময় বৃষ্টিপাত কম হচ্ছে। বজ্রপাত, কালবৈশাখী ও তাপপ্রবাহ দ্বিগুণ হবে। এ কারণে মৃত্যুও বাড়বে।আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত মার্চ মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা ১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। চলতি এপ্রিল মাসের গতকাল পর্যন্ত তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। স্বল্প সময় অধিক বৃষ্টিপাত হলে শহরাঞ্চলে নালাগুলো উপচে পড়ে, এতে করে বাড়ে ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ। তা ছাড়া তাপপ্রবাহ বাড়লে ডায়রিয়াসহ নানান ধরনের রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ে।এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ গতকাল বলেন, ‘তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক আরও দুর্যোগের সম্পর্ক রয়েছে।’