ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চিত্রনায়িকা পরীমনির করা মামলায় প্রধান আসামি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন (ইউ) মাহমুদ ও অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার বিকেল ৩টার দিকে তাদের উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার বাকি তিনজন হলেন লিপি, সুমি ও স্নিগ্ধা। গ্রেপ্তারের সময় এদের কাছ থেকে মাদকও জব্দ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ।
এর আগে সাভার মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। রূপনগর থানার মাধ্যমে মামলাটি দায়ের করেন পরীমনি।
মামলায় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে আরও চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলা নম্বর ৩৮।
থানা সূত্রে জানা গেছে, সকালে রূপনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন পরীমনি। পরে রূপনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক মামলার অভিযোগটি সাভার থানায় নিয়ে যান।
এর আগে রবিবার রাতে নিজের বনানীর বাসায় সংবাদ সম্মেলনে পরীমনি বলেন, চার দিন আগে উত্তরা বোট ক্লাবে নাসির ইউ মাহমুদ নামে এক ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালান। তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়।
তিনি জানান, তার ব্যক্তিগত কস্টিউম ডিজাইনার জিমির বন্ধু ব্যবসায়ী অমির আমন্ত্রণে সেদিন জেমিকে সঙ্গে নিয়ে উত্তরা বোট ক্লাবে যান। সেখানে তাকে পানীয় গ্রহণ করতে বলা হয়। এরপর তার সঙ্গে অশালীন আচরণ শুরু করেন নাসির ইউ মাহমুদ। একপর্যায়ে শুরু হয় মারধর। এ সময় অমিকে নীরব থাকতে দেখা যায় বলেও দাবি করেন পরীমনি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সেখানে অজ্ঞান হয়ে যান পরীমনি। এরপর রাত ২টা থেকে আড়াইটার দিকে তিনি সুস্থ হয়ে বনানী থানায় যান।
পরীমনি বলেন, ‘আমি সুইসাইড করার মতো মেয়ে নই। আমি সুইসাইড করতে চাই না। তারপরও যদি আমার মৃত্যু হয়, তাহলে তার জন্য সেই ব্যক্তিরা দায়ী থাকবে।’
আক্ষেপ করে এই জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বলেন, ‘গত চার দিন ধরে আমি সাধারণ মেয়ে হিসেবে দ্বারে দ্বারে বিচার চেয়েছি, কিন্তু পাইনি। আজ তাই সংবাদ সম্মেলন ডেকেছি। আমি আজ বুঝতে পারছি, সাধারণ মেয়েদের অবস্থা কী হয়।’
এর আগে রাত ৮টার দিকে পরীমনি নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজে তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি লেখেন। চিঠিতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর নিকট ন্যায্য বিচার প্রার্থনা করেন।