আবারও জোট সরকার পেতে যাচ্ছে নেপাল। ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত দেশটির জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফল এখনো ঘোষণা হয়নি। তবে ভোটের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো ইতিমধ্যে জোট সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ক্ষমতাসীন জোট পরবর্তী মেয়াদেও সরকার গঠন করবে। খবর কাঠমান্ডু পোস্ট ও ইন্ডিয়া টুডের।
পরবর্তী সরকার গঠনের লক্ষ্য নিয়ে গতকাল শনিবার রাজধানী কাঠমান্ডুতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল প্রচন্ড। বৈঠকে তাঁরা পাঁচ দলের সমন্বয়ে গঠিত বর্তমান জোট সরকার টিকিয়ে রাখার বিষয়ে একমত হয়েছেন।
শের বাহাদুর দেউবা নেপালি কংগ্রেস পার্টির প্রধান। অন্যদিকে পুষ্পকমল দাহাল প্রচন্ড নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি মাওবাদী মধ্যপন্থীর (সিপিএন-এমসি) চেয়ারম্যান।
এবার নেপালের জাতীয় পরিষদের ২৭৫টি আসনের মধ্যে ১৬৫টিতে ভোট হয়েছে। আজ রোববার পর্যন্ত ১৫৬টি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৩টি আসনে জয় পেয়ে এগিয়ে আছে নেপালি কংগ্রেস। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে নেপাল কমিউনিস্ট ইউনিফাইড মার্ক্সিস্ট লেনিনিস্ট (ইউএমএল) জোট। তারা জয় পেয়েছে ৪১টি আসনে। সিপিএন-এমসি জয় পেয়েছে ১৭টি আসনে।
এখন ক্ষমতাসীন নেপালি কংগ্রেস ও সিপিএন-এমসি পরবর্তী মেয়াদে জোট সরকার গড়লে বিরোধী দল হবে বামপন্থী ইউএমএল জোট। ক্ষমতাসীন জোটের দুই নেতার বৈঠকের পর আজ রোববার সিপিএন-এমসির স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য গণেশ শাহ বলেন, ‘ক্ষমতাসীন জোট যাতে নতুন সরকার গড়তে পারে, এ জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করতে দুই নেতা একমত হয়েছেন।’
২০০৮ সালে ২৩৯ বছরের পুরোনো রাজতন্ত্রের অবসানের পর ১০টি সরকার পেয়েছে নেপাল। দরিদ্র দেশটির জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার বিষয়টি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছে। এবারের নির্বাচনের আগে দেশব্যাপী বিভিন্ন সমাবেশে রাজনৈতিক দলগুলো দ্রব্যমূল্য কমানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনীতি দৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, নেপালের নতুন সরকারকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য নিয়ন্ত্রণের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।