সম্প্রতি র্যাব এবং সাত কর্মকর্তার ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞার ব্যাপ্তি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে লিখিতভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরও ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর বিধিনিষেধের গুঞ্জনকে ‘উড়ো খবর’ বলেও নাকচ করে দেন তিনি।
শাহরিয়ার আলম বলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর অন্য কোথাও কোনো ধরনের প্রভাব নেই। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও এটি বিস্তৃত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।র্যাবের ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা সরকারের অগ্রাধিকার জানিয়ে তিনি বলেন, ‘র্যাব আমাদের গর্বের একটি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের অনেক সফলতার ভাগীদার র্যাব। তাদের (র্যাব) এবং তাদের কর্মকর্তাদের সুরক্ষা দেওয়া আমাদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব।’
‘সেই জায়গা থেকে আইনি বিষয়গুলো দেখছি। কয়েক দিন ধরে বিস্তারিতভাবে কিছু বিষয়ে বৈঠক করেছি’ যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।তিনি বলেন, ‘কী কী কারণে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এবং রাজস্ব বিভাগ থেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এবং এর ব্যাপ্তি কতটা, তা আমরা লিখিতভাবে জানতে চেয়েছি। আমাদের বলা হয়েছে, তারা উত্তর দেবেন। তবে সময় নেবেন।’শাহরিয়ার আলম আরও বলেন, ‘এ পর্যন্ত আমাদের সামনে বিকল্পগুলো কী কী, তা নিয়ে একাধিক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলেছি। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে যেটি সবচেয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ, সেটিই আমরা বেছে নেবো।’তিনি জানান, আগামী এপ্রিলে দুই দেশের মধ্যে অংশীদারত্ব সংলাপ এবং কাছাকাছি সময়ে বাণিজ্য সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে। এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিটি আলোচনায় মানবাধিকার নতুন প্রসঙ্গ হিসেবে যুক্ত হচ্ছে। মানবাধিকার বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার থাকবে।
মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে তা নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরা প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কখনো সফল হই, কখনো সফল হই না। তার মানে কিন্তু এই না যে তারা এক সপ্তাহ বা পরের মাসে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেবে।’তিনি বলেন, ‘এটা প্রথমবারের মতো হলো। খুবই দুঃখজনক হলেও এটা আমরা এখনো বলবো- সম্পর্ক যতই গভীর বন্ধুতার হোক না কেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এটা মাত্রাতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে।’