সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন চায় না বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)। দুটি দল সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন চায়। অন্যদিকে সার্চ কমিটি নিয়ে আপত্তি নেই জাকের পার্টির। দলটি ঘরে বসে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দিয়েছে।
ইসি গঠন নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ও রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে পৃথকভাবে সংলাপে অংশ নিয়েছে তিনটি দল। প্রথমে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয় জাকের পার্টি, এরপর পর্যায়ক্রমে অংশ নেয় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ও বিজেপি।
জাকের পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা আমীর ফয়সলের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে চার দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছে। এর মধ্যে রয়েছে নির্বাচনকে বিতর্কমুক্ত রাখতে ই-ভোটিং প্রক্রিয়ায় ঘরে বসে ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করা, ইসি গঠন নিয়ে আইনের খসড়া করার পর প্রথমে তা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের কাছে মতামতের জন্য পাঠানো, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন।
জাকের পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শামীম হায়দার বলেন, তাঁরা যে চারটি প্রস্তাব দিয়েছেন, তা মেনে নিলে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব।
সংলাপে কল্যাণ পার্টির ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলের মহাসচিব আবদুল আউয়াল। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে দলটি বলেছে, এর আগে সার্চ কমিটির মাধ্যমে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করা যায়নি। ইসি গঠনে এখনো আইন করার মতো যথেষ্ট সময় ও সুযোগ রয়েছে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন চায় দলটি। নিবন্ধিত সব দলের প্রতিনিধি, সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিসহ সমাজের সব স্তরের পেশাজীবীদের সম্মিলনে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরে কল্যাণ পার্টি। তারা বলেছে, এই সরকারের নাম ‘আপৎকালীন সরকার’, ‘জরুরি সরকার’, এমনকি ‘দেশরক্ষা সরকার’ হিসেবেও উল্লেখ করা যেতে পারে।
অন্যদিকে বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছে। দলটি আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন ও সামরিক বাহিনীকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সহযোগী শক্তি হিসেবে সম্পৃক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে।
সংলাপ শেষে আন্দালিব রহমান বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের প্রস্তাব করেছেন তাঁরা। সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, এ কথাও সংলাপে তাঁরা বলেছেন।