আমাদের খাদ্যতালিকার গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হলো কার্বোহাইড্রেট।সেই কার্বোহাইড্রেট নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন।
কার্বোহাইড্রেট হলো অনেকগুলো হাইড্রোক্সিল গ্রুপবিশিষ্ট জৈব যৌগ যেখানে এলডিহাইড বা কিটোন গ্রুপ থাকে।কার্বোহাইড্রেটে কার্বনের সংখ্যা সর্বদাই ৩ বা ৩ এর চেয়ে বেশি হবে।কখনোই ৩ এর চেয়ে কম হবেনা।
কার্বোহাইড্রেটকে চারটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়:
১.মনোস্যাকারাইড
২.ডাইস্যাকারাইড
৩.অলিগোস্যাকারাইড
৪.পলিস্যাকারাইড
মনোস্যাকারাইড হলো কার্বোহাইড্রেটের সবচেয়ে সরল রূপ।সাধারণত তিনটি থেকে নয়টি কার্বনের সমন্বয়ে তৈরী হয় এটি।এর উদাহরণগুলো হলো- গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, গ্যালাক্টোজ, ম্যানোজ, রাইবোজ, রাইবুলোজ ইত্যাদি।
এই মনোস্যাকারাইড গ্লাইকোসাইডিক বন্ধনে একে অপরের সাথে যুক্ত হয়ে তৈরী করে ডাইস্যাকারাইড।এর মধ্যে রয়েছে ম্যালটোজ, ল্যাকটোজ, সুক্রোজ ইত্যাদি।
তিন থেকে দশটি মনোস্যাকারাইড একসাথে যুক্ত হয়ে তৈরী করে অলিগোস্যাকারাইড।এক্ষেত্রেও মনোস্যাকারাইডগুলো গ্লাইকোসাইডিক বন্ধন দ্বারা সংযুক্ত থাকে।ম্যালটোট্রায়োজ, র্যাফিনোজ ইত্যাদি হলো বিভিন্ন অলিগোস্যাকারাইড।
মনোস্যাকারাইড এর পলিমার হলো পলিস্যাকারাইড।এর অপর নাম গ্লাইকানস।এখানে দশের চেয়ে বেশি মনোস্যাকারাইড গ্লাইকোসাইডিক বন্ধন দ্বারা যুক্ত থাকে।এর অন্তর্গত হলো স্টার্চ, গ্লাইকোজেন, সেলুলোজ, মিউকোপলিস্যাকারাইড, গ্লাইকোপ্রোটিন ইত্যাদি।
যে কার্বোহাইড্রেটগুলো পানিতে দ্রবণীয়,দানাদার ও স্বাদে মিষ্টি সেগুলোকে সুগার বলা হয়।
আর যেগুলো পানিতে দ্রবণীয় নয় ও নির্দিষ্ট আকারবিহীন সেগুলো নন-সুগার।
ক্ষারীয় মাধ্যমে যে কার্বোহাইড্রেট বিজারক হিসেবে কাজ করে তাকে বলে রিডিউসিং সুগার।
আর যে সুগারের কোনো মুক্ত এলডিহাইড বা কিটোন গ্রুপ নেই সেগুলোকে বলে নন-রিডিউসিং সুগার।
©দীপা সিকদার জ্যোতি