ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার আহাম্মদপুর গ্রামের নিয়ামুল ভূঁইয়ার একমাত্র ছেলে, ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ কলেজ থেকে সদ্য এইচএসসি পাস করা আরিফুল ইসলাম রাফি ভূঁইয়াকে (১৯) সোমবার (২৮ মার্চ) ছুরিকাঘাতে খুন করে বখাটে প্রদীপ হাসান পালিয়ে যাওয়ার একদিন পরই মঙ্গলবার বিকেলে নবীনগর উপজেলার লাপাং গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগের একটি ইভটিজিং-এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আহাম্মদপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে প্রদীপ হাসান (২০) ও একই গ্রামের লিসানের মাঝে ঘটে যাওয়া ঝগড়া মীমাংসা করার জন্য গত সোমবার সন্ধ্যায় ওই গ্রামের কয়েকজন যুবক আহাম্মদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বসেন। কথা বলার সময় প্রদীপ হাসান উত্তেজিত হয়ে ধারালো ছুরি নিয়ে দৌড় দিলে কলেজছাত্র রাফি রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রদীপ হাসানকে আটকানোর চেষ্টা করে। এ সময় তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে রাফির বুকে আঘাত করে সে পালিয়ে যায়। পরে মূমুর্ষ অবস্থায় রাফিকে নবীনগর সরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্ত্যবরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৯মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইনে পুলিশ কনস্টবল পদে রাফির রিটেন পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। সেই প্রস্তুতি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নবীনগর আসার পথে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে। সোমবার রাতে রাফির বাবা নবীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে নবীনগর থানার ওসি (তদন্ত) নুরে আলম বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত মূল আসামি মো: প্রদীপ হাসানকে (২০) নবীনগর থানাধীন লাপাং এলাকা থেকে ঘটনার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি প্রদীপ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে।