তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলককে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে—সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল গত মাসের শেষ দিকে। সফর শেষে ঢাকায় ফিরে গত ৩ জানুয়ারি তিনি ফেসবুকে যুক্তরাষ্ট্রের ছবি প্রকাশ করে জানান দিয়েছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন। তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব) এবং এর সাবেক-বর্তমান সাতজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার ওপর গত ১০ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ও পররাষ্ট্র দপ্তর। এরপর বিভিন্ন মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অন্যান্য মাধ্যমে আরো নতুন নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত দিয়ে আসছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) এম হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ গতকাল শুক্রবার ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘একটা অধিকারবিহীন দেশে আমরা বসবাস করছি। আজ যুক্তরাষ্ট্রে কেন বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে? সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞা কাকে দেওয়া হয়েছে? প্রধান নির্বাচন কমিশনার হুদা সাহেবকে (কে এম নুরুল হুদা) নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এতে বিশেষভাবে প্রমাণিত হলো, নৈশ ভোটের কারিগর কারা।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের তথ্য বিএনপি নেতা এম হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ কোথায় পেয়েছেন, তা উল্লেখ করেননি। তাঁর ওই বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নতুন কোনো নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়নি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিভিন্ন মহলের বক্তব্যের বিষয়ে অবগত ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। তবে তারা বলেছে, ১০ ডিসেম্বরের পর বাংলাদেশি কারো ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা ব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা আছে এমন ব্যক্তিরা জানান, যুক্তরাষ্ট্র কারো ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে তার প্রভাব ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রেও পড়ে। তবে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বাইরেও ভিসার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থা নিতে পারে। যেমন কারো কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা থাকলেও সেটি মার্কিন কর্তৃপক্ষ বাতিল করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইন অনুযায়ী ওই তথ্য প্রকাশ করা হয় না।