অর্থমন্ত্রী, দেশে ইতিমধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিকাশ এবং নগদ হিসাবে মোবাইল আর্থিক পরিষেবা সরবরাহকারীদের (এমএফএস) কর্পোরেট কর বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন। অর্থমন্ত্রী এই খাত থেকে কর বাড়িয়ে আরও বেশি রাজস্ব আদায় করতে চান। ফলস্বরূপ, এই খাতের সংস্থাগুলিকে আগের তুলনায় আরও বেশি কর দিতে হবে।
বাজেটে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এমএফএস সংস্থাগুলির করের হার ৩২.৫ শতাংশ থেকে ৩৭.৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। তালিকাভুক্ত না করা হলে করের হার ৩২.৫ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে উন্নীত হবে।
২০১১ সালে ডাচ বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশে প্রথম মোবাইল ফোন আর্থিক পরিষেবা (এমএফএস) বা মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা চালু করে। পরে এটির নামকরণ করা হয় “রকেট”। তারপরে ব্র্যাক ব্যাংকের অংশীদার সংস্থা “বিকাশ” এই সেবার জন্য আসে। আরও অনেক ব্যাংক ইতিমধ্যে পরিষেবাটি চালু করেছে, তবে এটির সুবিধা নিতে সক্ষম হয়নি। তবে ডাক বিভাগের “নগদ” পরিষেবাটি বেশ সাড়া ফেলেছে।
সম্প্রতি ইউসিবিএল এই পরিষেবা দেওয়ার জন্য একটি পৃথক সংস্থা চালু করেছে। তাদের সেবার নাম ‘উপায়’। সব মিলিয়ে ১৫ টি প্রতিষ্ঠান বর্তমানে দেশে এমএফএস দিচ্ছে। এর মধ্যে একটি ব্যাংক পৃথক সংস্থা খোলে, অন্য ব্যাংক পৃথক পণ্য হিসাবে পরিষেবা সরবরাহ করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নগদ ব্যতীত বাকি ১৫ টি প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিয়ে প্রস্তুত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, গত মার্চ শেষে এই সেবার মোট গ্রাহক ছিলেন ১০ কোটি ২৭ লাখ ৯৬ হাজার। তবে সক্রিয় গ্রাহকদের সংখ্যা ৩ কোটি ৪৬ লাখ।