ধান বাংলাদেশের প্রধান কৃষিজাত ফসল।
বাঙালির প্রধান খাদ্য ভাত। ধান থেকে আমরা পাই চাল,আর সেই চাল থেকে পাই ভাত।পৃথিবীর সব দেশেই কমবেশি ধান চাষ হয়।তবে শীতপ্রধান দেশে ধান চাষ হয় না।
ধান গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের মতে,পৃথিবীতে প্রায় শতাধিক ধান রয়েছে।তবে আমাদের দেশে সবচেয়ে সুপরিচিত ধান হলো ‘আউশ’ এবং ‘আমন’
এছাড়াও এক প্রকার ধান রয়েছে যার নাম ‘বোরো’।একে গরীবের বন্ধু বলা হয় কারণ এর সহজলভ্যতা আর তা’ও কম দামে।বোরো ধান উচ্চফলনশীল এবং বছরের যেকোনো সময়েই চাষ করা যায়,তবে এর জন্য পর্যাপ্ত পানি সেচের প্রয়োজন হয়।
আউস ধানের বীজ বপন করতে হয় বৈশাখ মাসে। শ্রাবন-ভাদ্র মাসে ধান পাকে আর তা কেটে কৃষকেরা ঘরে তোলে।
ধান থেকে চাল প্রস্তুত হয়।চাল দু প্রকারের;আতপ চাল এবং সিদ্ধ চাল।ধান রোদে শুকিয়ে যেই চাল বের হয় তাকে বলা হয় আতপ চাল; ধান সিদ্ধ করে,শুকিয়ে যে চাল প্রস্তুত করা হয় তাকে বলা হয় সিদ্ধ চাল।আগেরকার দিনগুলোতে ঢেঁকিতে ধান ভানা হতো।বর্তমানে এই ঢেঁকির স্থান দখল করে নিয়েছে ‘ধানকল’ গুলো।
ধান অতীব প্রয়োজনীয় ফসল।এর কোনো অংশই ফেলনা নয়।ধান থেকে চাল সংগ্রহের পর যেই খড় পাওয়া যায় সেগুলো গরু ছাগলের গো খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।এছাড়া খড় এবং তুষগুলো আগুন জ্বালাতে ও কাজে লাগে।চাল থেকে ভাত ছাড়াও পোলাও,পায়েস, পিঠা ইত্যাদি প্রস্তুত করা হয়।
ধান তথা ভাত ভাতের উপর আমাদের জীবন নির্ভরশীল হলেও সেই ধান উৎপাদন করা এবং তাদের কীটপতঙ্গের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আধুনিক কোনো যন্ত্রপাতি নেই আমাদের দেশে,পুরনো পদ্ধতিই তারা কৃষিকাজ করে থাকে।আর আমাদের দেশের কৃষকগণ প্রাকৃতিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে ফসল চাষ করে থাকেন।তবে আশার কথা এই যে,কিছুটা হলেও পুরনো পদ্ধতির কিছুটা হলেও পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।
Reporter: Fahima Fi Ne