লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি তার প্রথম স্ত্রী জাফরিন সুলতানাকে (২৩) পিটিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন তার স্বামী ছামিদুল ইসলামকে (২৫)।
শুক্রবার হাতীবান্ধা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গুরুতর আহত গৃহবধূ জাফরিন সুলতানাও হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুদণ্ডে রয়েছেন।
আমলার মতে, জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ সিন্দুরনা গ্রামের আহমেদ আলীর মেয়ে জাফরিন সুলতানার ছয় বছর আগে প্রতিবেশী নুরুজ্জামান (জামাল) এর ছেলে ছামিদুল ইসলামের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল। বিয়ের পরে স্বামীকে বিভিন্ন সময়ে যৌতুক দেওয়া হয়।
পিটিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। এখন তিনি বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য তার শ্বশুর পরিবারের কাছ থেকে যৌতুক দাবি করছেন। নানা বিভিন্ন সময়ে স্ত্রীকে নির্যাতন করে। প্রথম স্ত্রী খবর পান যে তার স্বামী তাকে না জানিয়েই পুনরায় বিয়ে করেছেন। পরে তিনি স্বামীর বাড়িতে গেলে গত বুধবার রাতে তার স্বামী ও দ্বিতীয় স্ত্রী তাকে নির্মম নির্যাতন করেন। সে চেতনা হারিয়েছে।
সে তার স্বামী ও দ্বিতীয় স্ত্রীকে তাকে পেছনে ফেলে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। গুরুতর আহতদের সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। স্ত্রী জাফরিন সুলতানা বলেছিলেন যে তার স্বামী নারীদের আসক্ত হওয়ার পরে কয়েক মাস আগে রংপুর থেকে একটি মেয়ে বিয়ের দাবিতে এসে স্বামীর বাড়িতে অনশন শুরু করে।
চেয়ারম্যান পরে বিষয়টি মীমাংসা করেন। ৪ এপ্রিল নীলফামারী জেলার জলধাকা উপজেলার কাঠালি ইউনিয়নের উত্তর দেশীবাাই গ্রামের একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসিকে (২৪) তার স্বামী তাকে না জানিয়ে বিয়ে করেন।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এরশাদুল আলম জানান, দম্পতির পারিবারিক সমস্যা অনেক পুরনো। কয়েক মাস আগে তার স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের মামলা করা হয়েছিল। ওই মামলায় স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। স্বামী ও দ্বিতীয় স্ত্রী সহ সাতজনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।