ধূসর মনে রংধনু হয়ে এসেছিল তার স্বামী
রং তুলিতে সাজানো ছিল তনয়ার জীবনভূমি।
খেলুড়ে মেঘের ছোটাছুটিতে মুগ্ধ ছিল তার নয়ন,
শিউলি কুড়াতে সিক্ত হতো বনিতার রাঙা চরণ।
আরো ছিল তার খেয়ালিপনা ঘুড়ি উড়াবার মতন,
পা দুলিয়ে পড়তো বই কাঁদতো আবার ভীষণ।
রেগে গেলে হানা দিত সে জামাইয়ের কোঁকড়া চুলে,
মেকি রোষে তাকিয়েই জামাই হাসতো প্রাণ খুলে।
বাচ্চাসুলভ মেয়েটির মন থাকত সরল সাজে
তাইতো পতি করতো না রাগ সায় দিত সব কাজে।
বহুদিন বাদে দেখা হলো সেই অপরূপার সাথে,
প্রথম দেখায় মুষড়ে গিয়েছি আহত মনোরথে।
একি হয়েছে তার?
নিমিষেই যেন খুইয়ে গেছে সকল রূপের বাহার!
পরনে সাদা থান আর নেইতো নোলক নাকে,
চোখের নিচে বসেছে কালি, হাসিও নেই ঠোঁটে।
রোয়াকের গ্রিলে কপাল ঠেকিয়ে
চেয়ে থাকে আকাশ পানে,
পুরনো স্মৃতি আউড়িয়ে সে
কেঁদে ফেলে ঝরঝরে।
মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া।
১০.০৩.২০২১