তবে ফেসবুকে দেখলাম, দুটো মেয়ের সঙ্গে একটা ছবি পোস্ট করে শাহনাজ খুশি লিখেছেন, যে‘ভাবছি ছেলে দুটো বদলে দুটো মেয়ে নেব।’ আর ফোন করলাম এই অভিনয়শিল্পীকে। তার মেয়ে নেই বলে কি খুব দুঃখ? আর সৌম্য আর দিব্যর ‘দুঃখী’ মা খুশি উত্তর দিলেন, ‘তা তো বটেই। আমার খুব আক্ষেপ। আর একটা মেয়ে হলে যে কী ভালো হতো! ছেলেরা কী আর মায়ের কষ্ট বোঝে? আর আসলেও বোঝে না কিন্তু। খুব কম। এটা সায়েন্টিফিক। তা আমাদের সামাজিক, পারিবারিক কাঠামোয় তো আরও বোঝে না।’
তবে শাহনাজ খুশি আর বৃন্দাবন দাস দম্পতির দুই ছেলে সৌম্য আর দিব্য ইতিমধ্যে অভিনয়শিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে। আরএই যমজ দুই ভাইকে দেখা যাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী পরিচালক আকরাম খানের ‘নকশিকাঁথার জমিন’ সিনেমায়। পরিচালিত বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে অভিনয় করে এসেছেন তা ছাড়া দিব্য ইতিমধ্যে ভারতের মুম্বাই গিয়ে শ্যাম বেনেগাল ।
অভিনয় করলেন দীর্ঘদিন পর ঈদের জন্য সালাহউদ্দিন লাভলু পরিচালিত ‘বায়ুচড়া’ নাটকে । ‘তবে বায়ুচড়া’ মানে দ্রুত রেগে যায়, এমন। আর এই নাটকে ‘বায়ুচড়া’ থাকেন চঞ্চল চৌধুরী। তবে শাহনাজ খুশি থাকেন চঞ্চলের বোন। আর তাঁর ভাইয়ের মাথা গরম বলে গ্রামের সবাই তাঁকে বলে ‘পাগল’। আর এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারেন না শাহনাজ খুশি। তবে তিনি নিজের স্বামী থেকে শুরু করে গ্রামের সবার সঙ্গে কোমরে ওড়না বেঁধে ঝগড়া করেন। আর তাঁর ভাইকে কেন ‘পাগল’ বলা হলো ! তবে এদিকে চঞ্চল চৌধুরীর ‘মাথা গরমে’র পেছনে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধে তাঁর বাবার সংশ্লিষ্টতা, একটা বিদঘুটে শৈশব। কী সেটা? আর জানা যাবে ‘বায়ুচড়া’ নাটকটি দেখলে। দীপু হাজরা পরিচালিত ‘কাঁটা হেরি কান্ত কেনো’ আর শামীম জামান পরিচালিত ‘পিলিয়ার’ নাটকে অভিনয় করেছেন আর এ ছাড়া সকাল আহমেদ পরিচালিত ‘খঁচাই’। তবে শামীম জামানের ‘পিলিয়ার’ নাটকটি ১০ পর্বের। আর প্রায় সব কটি নাটকেই আছেন চঞ্চল চৌধুরী। আর প্রতিটি নাটক শাহনাজ খুশির দাম্পত্যসঙ্গী বৃন্দাবন দাসের লেখা।
লকডাউনে কীভাবে সময় কাটাচ্ছেন? এই অভিনেত্রী বললেন, ‘ঘরে কোনো গৃহকর্মী নেই তো, সব কাজ আমাকেই করতে হয়। সারা দিন অনলাইনে খবর পড়া হয়। টিভিতে খবরের চ্যানেল চলতে থাকে। রাত হলে শুরু হয় টক শো। আমাদের বাড়িতে অনেক আগে থেকে রাত হলেই টক শো চলে।