পদ্মা সেতু উদ্বোধনের বাকি আর ১৪ দিন। চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৫ জুনে এই সেতুর উদ্বোধন করবেন এবং দীর্ঘ দুই বছর তিনি জনসম্মুখে ভাষণ দেবেন।
সেতুর উদ্বোধন ও প্রধানমন্ত্রীর জনসম্মুখে ভাষণ সামনে রেখে আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীরা এক মাস ধরে ব্যস্ত। জেলায় জেলায় বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় উৎসবের প্রস্তুতি চলছে। কে কখন কীভাবে উদ্বোধনের দিন আসবে তা এখনই ঠিক করে রাখছেন। একটা জনসমুদ্রের মধ্য দিয়ে এই সেতুর দ্বার খুলবে সেই কর্মপরিকল্পনাই করছে দলটি।
শুক্রবার আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘স্বপ্নের পদ্মা বহুমুখী সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে আশা করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ১০ লাখেরও বেশি মানুষের জনসমাগম ঘটানো। তবে এখনো আমরা বলতে পারছি না কত লোক হবে।’
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী জনসভা সফল করার লক্ষ্যে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন নানক।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আমাদের নেত্রী সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। তিনি দুই বছর কোভিড মোকাবিলা করেছেন। তবে তিনি স্বাস্থ্যবিধির কারণে জনসম্মুখে আসতে পারেননি তেমন। কাজেই দীর্ঘ দুই বছর পর বঙ্গবন্ধুকন্যা জাতির উদ্দেশে জনসম্মুখে ভাষণ দেবেন। তবে কত লাখ লোক হবে, আমরা বুঝতে পারছি না। সে কারণেই সংগঠনগুলোকে নিয়ে সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষা করার আলোচনা করতে হয়েছে। কেউ বাসে আসবে, কেউ লঞ্চে আসবে, অন্যান্য যানবাহনে চড়ে আসবে। সেগুলো কীভাবে নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখা যায়, সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, জুন মাস গরমের দিন। বৃষ্টিও হতে পারে। এসব বিষয় মাথায় রেখে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে আসা মানুষদের কেউ অসুস্থ হলে যেন তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে জন্য আমাদের স্বেচ্ছাসেবকেরা নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমরা ধারণা করেছি, কমপক্ষে ১০ লাখ লোকের সমাগম হবে পদ্মাপাড়ে। এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। তবে সেটি সুনির্দিষ্টভাবে এখনই আমরা বলতে পারছি না। আমাদের উদ্যোগ হলো, জনসমাগম যাই হোক, বিশাল জনসভাকে সাফল্যমণ্ডিত করতে হবে।
জাহাঙ্গীর কবির নানকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীমসহ যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা।