ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, পরবর্তী আলোচনার সময় ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদের অবশ্যই দুই দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠকের ব্যাপারে একমত হতে হবে। স্থানীয় সময় আজ সোমবার এ কথা বলেন তিনি। খবর তাসেরপ্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাদের প্রতিনিধিদলকে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, তারা যেন প্রেসিডেন্টদের মধ্যে বৈঠক আয়োজনের জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করে। আমি নিশ্চিত, সবার প্রত্যাশা এটি। তাদের বুঝতে হবে, এটি জটিল বিষয় হলেও তা খুব জরুরি একটি উপায়।’
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘চলমান এ লড়াইয়ের মধ্যে কঠিন এ আলোচনাপ্রক্রিয়া চালানোর ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য হলো, ইউক্রেন যেন প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল পায়, যা আমাদের সবার জন্য জরুরি। আমাদের শান্তির জন্য, নিরাপত্তার জন্য, স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য এবং কার্যকরী নিশ্চয়তার জন্য তা জরুরি।’ ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য ডেভিড আরাখামিয়া সংবাদ ওয়েবসাইট স্ট্রানাকে বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের মধ্যে আজ অনলাইনে আরেক দফা আলোচনা শুরু হবে। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভও রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ক্রেমলিনের প্রেস সার্ভিস শনিবার জানায়, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সামনের দিনগুলোতে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনলাইনে সিরিজ আলোচনায় বসতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রুশ বাহিনী। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি বেলারুশের গোমেলে দুই দেশের প্রতিনিধিরা প্রথমবার আলোচনায় বসেন। পাঁচ ঘণ্টা চলে সেই আলোচনা। এরপর ৩ মার্চ বেলারুশের বেলোভেজসকায়া পুশচায় দ্বিতীয় দফা বৈঠক হয়। ওই বৈঠক থেকে বেসামরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য মানবিক করিডর চালুর চুক্তি করে ইউক্রেন ও রাশিয়া। পরে ৭ মার্চ বেলারুশের ব্রেসট অঞ্চলে তৃতীয় দফা বৈঠক হয়। ১০ মার্চ রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এবং ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা তুরস্কের আনাতোলিয়ায় একটি কূটনৈতিক ফোরামে আলোচনা করেছেন।