দিনাজপুর সংবাদাতাঃ দিনাজপুরে একদিনের ব্যবধানে আবারো কমেছে তাপমাত্রা, সেই সঙ্গে অসময়ের বৃষ্টির কারণে জেঁকে বসেছে শীতের প্রকোপ।
দিনভর সূর্য্যরে লুকোচুরি করতে দেখা গেছে। মেঘলা আকাশে শনিবার বিকাল ৪টার দিকে আবারও বৃষ্টি হয়েছে। এরপর থেকে হিমেল হাওয়ায় মাঘের কনকনে শীতে দিনাজপুরের জীবনযাত্রা জবুথবু।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত চারটা থেকে শুক্রবার পর্যন্ত গর্জনের সাথে অনবরত ৫৯মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষক।
দিনভর মেঘলা আকাশ আর বৃষ্টিতে এবং উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। বিপাকে নিম্নআয়ের মানুষ। বিকালের পর থেকেই হাড় কাপাঁনো ঠান্ডায় মানুষের চলাচল কমে যায়।
ঝড়ো হাওয়া আর বৃষ্টিতে সরিষা, গম, বোরো বীজতলা, আলু, সবজী চাষে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষক। শহরের অনেক স্থানে খড়কুটো জ¦ালিয়ে অনেককে শীত নিবারন করতে দেখা যায়।
নশরতপুরের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, একদিকে শীত অন্যদিকে বৃষ্টি। জমিতে কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। কারণ এখন বোরো ধান লাগানোর সময়। জমিতে পানি দিয়ে চাষ শুরু করেছি।
ঝাঞ্জিরার কৃষক দবিরুল ইসলাম জানান, বাতাসসহ বৃষ্টিপাতে আলু, গম আর বোরো বীজতলার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষেতে পানি জমে আলু পচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাঠে কাজ করাই যাচ্ছে না। কনকনে শীতে হাত-পা জড়ো হয়ে আসছে।
শশরা এলাকার কৃষক আলী আকবর জানান, বাতাস বেশী হওয়ায় এবং বৃষ্টিতে ক্ষেতে সরিষার ফুল ঝরে পড়ছে। এতে ফলন কমে যাওয়ায় আশংকায় আছি।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন জানান, শনিবার দিনাজপুরে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪-৫ কি.মি। বৃষ্টিপাতের পর তাপমাত্রা আরও হ্রাস পাবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, সারাদেশে গত ২৪ ঘন্টায় (শুক্রবার) বৃষ্টির পরিমাণ ছিল দিনাজপুরে ৫৯, খুলনায় ৬৮, সৈয়দপুরে ৩৫, রংপুরে ৫৫, নওগাঁয় ৩৩, রাজশাহীতে ৩০, ডিমলায় ৫৫, কুড়িগ্রামে ৫০ মিলিমিটার।