দিনাজপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজিজুল ইমাম চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ঋণখেলাপি হওয়ায় রোববার বেলা দুইটার দিকে যাচাই-বাছাই শেষে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রামাণিক তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
একই সঙ্গে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বিভিন্ন কারণে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ২ জনের এবং সাধারণ ওয়ার্ডের ৯ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
আজিজুল ইমাম চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল করার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রামাণিক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তিনি একজন ঋণখেলাপি। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ঋণখেলাপি হলে প্রার্থী হওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। এ জন্য তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। মনোনয়ন বহাল চেয়ে আগামী তিন দিনের মধ্যে ওই প্রার্থী আপিল কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) বরাবর আবেদন করার সুযোগ পাবেন। সে ক্ষেত্রে আপিল বিভাগ যে সিদ্ধান্ত নেবেন, পরবর্তীকালে নির্বাচন কমিশন কর্তৃপক্ষ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আজিজুল ইমাম চৌধুরী প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, মেরিডিয়ান ফাইন্যান্স লিমিটেড ও ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডে ঋণখেলাপি হিসেবে আছেন। এ ছাড়া সোনালী ব্যাংক দিনাজপুর অঞ্চলের ডিজিএম রুহুল আমিন স্বাক্ষরিত পত্রে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে, আজিজুল ইমাম ব্যাংকের কাছে ৩৪ কোটি ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৪২০ টাকা ঋণখেলাপি আছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে আজিজুল ইমাম চৌধুরী বলেন, ‘ঋণখেলাপি দেখিয়ে আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। তবে আপিলের সুযোগ আছে। আমি আপিলে যাব।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজিজুল ইমাম চৌধুরী পরপর তিনবার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এক যুগের অধিক সময় ধরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে রয়েছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আজিজুল ইমাম চৌধুরী প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, মেরিডিয়ান ফাইন্যান্স লিমিটেড ও ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডে ঋণখেলাপি আছেন। এ ছাড়া সোনালী ব্যাংক দিনাজপুর অঞ্চলের ডিজিএম রুহুল আমিন স্বাক্ষরিত পত্রে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে, আজিজুল ইমাম ব্যাংকের কাছে ৩৪ কোটি ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৪২০ টাকা ঋণখেলাপি আছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় মনোনয়ন দাখিল করার শেষ সময় পর্যন্ত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার জন্য আজিজুল ইমাম চৌধুরীসহ মোট চার প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত ৫টি ওয়ার্ডে সদস্যপদে নির্বাচন করার জন্য ১৫ জন এবং ১৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে সদস্যপদে নির্বাচনের জন্য ৪৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
চেয়ারম্যান পদে যাঁদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক তৈয়ব উদ্দিন চৌধুরী এবং স্বপ্নপুরীর স্বত্বাধিকারী ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন।